বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পুুলিশের সর্তক বার্তা

সিটিতে গাড়ি চুরি বেড়েছে

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৫৬ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার


 
আজকাল রিপোর্ট
নিউইয়র্ক সিটিতে গাড়ি চুরির ঘটনা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ব্রংকস, ব্রুকলিন ও কুইন্সে এ হার সবচেয়ে বেশি। দিনে দুপুরে পার্ক করা গাড়ি খোয়া যাচ্ছে। গাড়ি স্টার্ট দেওয়া থাকলে তো কথাই নেই। ড্রাইভার হয়ত গাড়ির ইঞ্জিন অন রাখা অবস্থায় পার্ক করে দোকানে চা বা কফি কিনছেন কিংবা গাড়ি অন রেখেই রেষ্টুরেন্টের রেস্টরুমে গেছেন, মিনিটের মধ্যেই ফিরে এসে দেখছেন তার গাড়িটি নেই।
এমনি কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রংকসের পার্কচেষ্টার ও কুইন্সের জ্যামাইকা এলাকায়। অনেকে গ্যাস স্টেশনে গ্যাস কিনে গাড়ি স্টার্ট রাখা অবস্থায়ই চা বা কফি কিনতে মিনি স্টোরে ঢোকেন। ফিরে এসে দেখেন গাড়ি নেই। রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে বাসায় গেলেও নিস্তার নেই। রাতে চোরেরা আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে গাড়ি ওপেন করে। বিভিন্ন কৌশলে স্টার্ট দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালায়। এমনি ঘটনা ঘটেছে গত বছর বাংলাদেশি সাংবাদিক শামীম আহমেদের ক্ষেত্রে। রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করে তিনি বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সকালে দেখেন তার গাড়িটি আর নেই।  
অনলাইনে বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনেকেই গাড়ি কেনেন। গাড়ি চুরির এটি আর একটি কৌশল।  বিক্রেতার সাথে আলাপ করে গাড়ি কেনার নাম করে এসে তারি গাড়ি  ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে গত ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার এস্টোরিয়ায়। এদিন সন্ধ্যায় ২৭ বছর বয়সী এক যুবক গাড়ি নিয়ে আসেন এস্টোরিয়ার নিউটাউন রোড ও ৪১ স্ট্রিট এলাকায়। ক্রেতা সেজে ২ জন ছিনতাইকারি ছুরির মুখে গাড়ি নিয়ে নিমেষেই উধাও হয়ে যায়। পরে অবশ্য স্টোলেন গাড়িটি উডহাভেনের ফরেস্ট পার্কওয়ে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।  ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে গাড়ি বিক্রির জন্য ছিনতাইকারিদের সাথে পরিচয় হয়েছিল এই বিক্রেতার।
এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, সিটিতে গাড়ি চুরির হার মারাত্মকভাবে বেড়েছে। গত ১০ বছরে সিটিতে গাড়ি চুরির রিপোর্ট হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার। যা কিনা ২০১২ সালের তুলনায় প্রায় শতকরা ৫২ ভাগ বেশি। নিউইয়র্ক পোষ্ট রিপোর্ট করেছে, গাড়ি চুরির হার এখন আকাশচুম্বি। গত বছরের তুলনায় তা শতকরা ৯৩ ভাগ বেশি। ২০২২ সালের প্রথম ৩০দিনে সিটিতে গাড়ি চুরি হয়েছিল ১ হাজার ১ শত ৫১টি। এর আগের বছর জানুয়ারিতে গাড়ি চুরি হয়েছিল ৫৯৮টি।
সিটির আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গাড়ির মালিকদের সর্তক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গাড়ি অন রেখে অন্য কোথাও যাবেন না। গাড়ি প্রোপারলি পার্ক ও বন্ধ করে বের হবেন। অনলাইনে গাড়ি কেনাবেচায় সতর্ক থাকুন। নিরাপদ স্থানে গাড়ি পার্ক করুন।