আবু জাফর মাহমুদ পেলেন প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক ও সিনেটারিয়েল অ্যাওয়া
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:১৭ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৩ শনিবার
আজকাল রিপোর্ট
নারীর ক্ষমতায়ণ ও মানব সেবায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দি প্রেসিডেন্ট ভলেন্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন নিউইয়র্কের হোম কেয়ার সেবার পথিকৃৎ আবু জাফর মাহমুদ। প্রেসিডেন্টশিয়াল গোল্ড মেডেলের পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ও অ্যামেরিক্রপস্ এর আজীবন সম্মাননা সনদ এবং সিনেটারিয়াল মেডেলও পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়ান থাউজেন্ড শেডস অব উইমেন ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে ওই পদক ও সম্মাননা দেয়া হয়। নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ারের প্রেসিডেণ্ট ও সিইও আবু জাফর মাহমুদের হাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত সম্মাননা সার্টিফিকেট ও ব্যাজ তুলে দেন ওয়ান থাউজেন্ড শেডস অব উইমেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডাইওর ফল। তিনি বলেন, আবু জাফর মাহমুদ মানব সেবায় শুধু বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যই অসামান্য নিদর্শন গড়েননি, তার বহুমুখী সেবামুলক কর্মকান্ডে আমেরিকায় বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। মানব সেবায় আর ঔদার্য ও পরীক্ষিত পদক্ষেপগুলো এখন মার্কিন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।
‘হাই লেভেল ইভেন্ট’ এ আইভরি কোস্টের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী নাসেনেবা চেরি ডিয়ানসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, ইউনিসেফসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল এআি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আরো যারা অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিবাসী অধিকার কর্মী আদামা বাহ্, কাস্টমার কেয়ার এনালিস্ট প্রিডেন্স পায়েজ, চীনের প্রখ্যাত শিল্পী, সুরকার ও শিক্ষানুরাগী কারিনা হো, আমেরিকায় নিযুক্ত গ্রেনাডার রাষ্ট্রদূত ড. ডেনিস জি অ্যান্টনি, স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ সুমাইয়া আব্দুল লতিফ, প্রজেক্ট পিস লাইটস এর প্রতিষ্ঠাতা পেটে রগিনা, খান টিউটোরিয়ালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মো. ইভান খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মানব সেবায় কৃতি ব্যক্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক আবু জাফর মাহমুদ তার ‘জয় বাংলাদেশ ও জয় আমেরিকা’ শ্লেগান উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশি পরিবার পর্যায়ে সেবা মানেই ভালোবাসা, আত্মিক টান ও গভীর মমত্ববোধ। সেবা মানেই দায়বদ্ধতা ও গভীর জীবনোপলব্ধির ব্যাপার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেবাভিত্তিক এই অভিযানকে বাংলাদেশের পারিবারিক সাংস্কৃতিক মানবিকতার সঙ্গে একাত্ম করার চেষ্টা করে চলেছি। এখন থেকে ষোলো বছর আগে শুরু করেছি এই কার্যক্রম। মার্কিন সরকারের হোম কেয়ার সেবা বাংলাদেশি আমেরিকানদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছি। আজ বাংলাদেশি আমেরিকান সমাজের মা বাবা, ভাইবোন তথা সন্তানেরা মানবসেবার ধারণা পাচ্ছেন। মানব সেবার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এটি আমার কাছে অনেক বড় গর্বের।