অরুণাচলের ১১ এলাকার নাম বদলে দিল চীন, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:২৯ এএম, ৫ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ১১টি এলাকার নতুন করে নামকরণ করেছে চীন। নয়াদিল্লি এর কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বেইজিংয়ের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েচে ভারত।
মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতের ছিল, ভারতেরই থাকবে। চীনের নামকরণে তার কোনো পরিবর্তন হবে না। চীন এই প্রথমবার এমন চেষ্টা করেছে তা নয়। আমরা এটিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করি।’ হিন্দুস্তান টাইমস।
রোববার চীনের নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রিসভার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অরুণাচল প্রদেশের (চীন বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ তিব্বত বলে উল্লেখ করেছে) কয়েকটি ভৌগোলিক এলাকার নামকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এবার থেকে চীনা মানচিত্রে অরুণাচলের ওই জায়গাগুলোর নাম মান্দারিনের অক্ষরে লেখা থাকবে।
সেই রেশ ধরে চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘দক্ষিণ তিব্বতের যে ১১টি জায়গার ‘সরকারি’ নামকরণের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ এবং দুটি নদীর নামকরণ করেছে চীন। সেইসঙ্গে ওই জায়গাগুলোর নামের শ্রেণিবিভাগ এবং সেগুলোর অন্তর্গত প্রশাসনিক জেলারও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস, ইনস্টিটিউট অব চাইনিজ বর্ডারল্যান্ড স্টাডিজের ঝ্যাং ইয়ংপ্যান দাবি করেছেন, যে এলাকাগুলোর নামকরণ করা হয়েছে, সেগুলো চীনের ‘সার্বভৌমত্ব’র মধ্যে পড়ে।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাম পালটে দেওয়ার ঘোষণা করেছে চীন। ২০১৭ সালের এপ্রিল এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরেও একইভাবে অরুণাচল প্রদেশের একাধিক জায়গা পালটানোর ঘোষণা করেছিল বেইজিং। যে দুবারই চীনের সেই পদক্ষেপের তুমুল নিন্দা করেছিল ভারত।
সেই সময় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, ‘অরুণাচল প্রদেশ হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ।’ এমনিতে ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে ভারত ও চীনের সীমান্ত সংঘাত তীব্র হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়। সেই সংঘাতের রেশ ধরে গালওয়ানে সংঘর্ষ হয়েছিল। শহিদ হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। চীনের অনেক ফৌজির মৃত্যু হয়েছিল। যদিও সংখ্যাটা প্রকাশ করেনি বেইজিং। পরে কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের পর কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারইমধ্যে অরুণাচল সীমান্তেও সংঘাত শুরু হয়।