সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাবার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছেড়েছিলেন উরফি

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৪৭ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার

 ছোটবেলায় সহ্য করেছেন অনেক অত্যাচার! উরফি জাভেদের জীবনের কথা শুনলে গা শিউরে উঠবে অনেকেরই। উরফির বড় হয়ে ওঠা একেবারেই স্বাভাবিক ছিল না। পোশাক নিয়ে সব সময়ই নানা কথা শুনতে হয়েছে তাকে। এমনকি তার বাবার নির্যাতন সইতে না পেরে কোনো রকমে প্রাণ নিয়ে বাড়ি থেকে পালান উরফি!

এখন অবশ্য কোনো কথাই গায়ে লাগান না উরফি। কিন্তু ছোটবেলায় রাস্তাটা এত সহজ ছিল না। বাড়ির লোক ও বাবার কাছে মারও খেয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন সেসব কথা। লখনউতে বড় হয়ে ওঠা উরফি ১৭ বছরেই দিল্লি পালিয়ে এসেছিলেন মুক্তির খোঁজে!
উরফি বলেন, ‘শুধু শারীরিকভাবে নয় বরং মানসিকভাবেও নানা অত্যাচার সহ্য করেছি। নির্দিষ্ট ধাঁচের বাইরে পোশাক পরা আমার বারণ ছিল। আমি তো আত্মহত্যা করতেও চেয়েছিলাম।’

কিন্তু এসবের কারণ কী? উত্তরে উরফি বলেন, ‘আমার নীল টপ পরা একটা ছবি পর্নসাইটে আপলোড করা হয়েছিল। ১৫ বছর বয়েসে এসব দেখেছি আমি। আমার আশপাশের মানুষজনের সঙ্গে আমার বাবাও আমায় পর্নস্টার বলেছিল।’

এমনকি বাবার মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন উরফি। কিন্তু তার পরও মুখ ফসকে কিছুই বলেননি তিনি। যদিও তখন তার পোশাক নিয়ে কোনো বিতর্কই সৃষ্টি হয়নি। আর পাঁচজনের মতোই সাধারণ জীবন যাপন করতেন উরফি। মারের ভয়ে মুখ ফুটে কিছুই বলা সম্ভব হয়নি তার। শুধু এটুকুই বুঝতে পারেননি, যেখানে তিনি নিজেই ভিকটিম, সেখানে মার খাচ্ছেন কেন?

নিজের বর্তমান ফ্যাশনের কারণে সব সময়ই শিরোনামে থাকেন উরফি জাভেদ। হাজির হন নিত্যনতুন অদ্ভুত আর খোলামেলা পোশাকে। তাই শুনতে হয় অনেক কটূক্তি। তবে মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য আজ আর গায়ে লাগান না তিনি। বরং নিজের সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে সবাইকে চুপ করিয়ে দেন এক নিমেষে।

সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।