নতুন ইমিগ্র্যান্ট ঠেকাতে সিনেটে বিল পাস
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৪৫ এএম, ২০ মে ২০২৩ শনিবার
স্বজনদের স্পন্সর করতে আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ লাগবে : ৫ বছর পর্যন্ত কোন বেনিফিট নয়
মনোয়ারুল ইসলাম :
নতুন ইমিগ্র্যান্টদের মেডিকেইড, ফুড এসিসট্যান্স ও হাউজিং এসিট্যান্স বন্ধে রেজুলেশন পাশ করলো সিনেটের রিপাবলিকান সদস্যরা। সিনেটে রিপাবলিকানরা মাইনরিটি হওয়া সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর মুনশান ও জন টেস্টার রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দেয়ায় তা ৫০-৪৭ ভোটে গত বুধবার তা পাশ হয়। তা এখন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভে (লোয়ার হাউজ) পাঠানো হবে। সেখানে রিপাবলিক্যানরাই মেজরিটি। সহজেই অনুমেয়, হাউজে তা অনায়াসেই পাস হবে। এরপর তা যাবে হ্য়োাইট হাউসে প্রেসিডেন্টের ডেস্কে। জো বাইডেন তা স্বাক্ষর করলে এটি হবে ইমিগ্রান্টদের জন্য একটি বড় ধরনের আঘাত।
এই নতুন বিধান অনুযায়ী বাবা, মা, ভাইবোনসহ আত্মীয়স্বজনদের স্পন্সর করে আমেরিকায় আনতে চাইলে তাদের পুরোপুরি স্বচ্ছলতার প্রমাণাদি দিতে হবে। ইমিগ্রেশন অফিসারদের তদন্তে এ সব তথ্য সন্তোষজনক বিবেচিত না হলে তারা ভিসা বা গ্রীন কার্ডের আবেদন গ্রহণ করবে না। আমেরিকায় আসার পর মেডিকেইড, ফুড এসিসট্যান্স ও হাউজিং এসিট্যান্স এর মতো বেনিফিটের জন্য তারা আবেদন করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রে তাদের স্বাক্ষর করতে হবে।
তবে পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা, এ আইনটি কংগ্রেসে পাস হলেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন এতে ভেটো দেবেন। উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে ‘পাবলিক চার্জ’ নামে একটি অধ্যাদেশের মাধমে ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী এই আইন বলবৎ করেন। এর আওতায় কোন বিদেশি নাগরিক আমেরিকায় আসার পর পাবলিক বেনিফিট নেবেন না এমন প্রতিশ্রুতি পত্রে স্বাক্ষর করতে হতো। বিশেষ করে স্পন্সর করে আত্মীয়স্বজনদের এদেশে আনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অধ্যাদেশটি ছিল বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা। ভিসা নিয়ে এদেশে আসতে চাইলেও পাবলিক চার্জ অ্যাক্টের আওতায় আবেদন অযোগ্য বলে বিবেচিত হতো।
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালে ট্রাম্পের ‘পাবলিক চার্জ’্ আইনকে রহিত করে দেন। গত ১৭ মে বুধবার সিনেট বাইডেনের বাতিল করা ‘পাবলিক চার্জ’ আইনটি পুর্নবহাল করার জন্যে রেজুলেশন পাস করে। কার্যত ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন বিরোধী অধ্যাদেশটিকে বহাল করার জন্যেই সিনেট এই রেজুলেশন পাস করেছে। রেজুলেশনটি সিনেটে উত্থাপন করেন রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর রজার মার্শাল। দুজন ডেমোক্র্যাট সিনেটর রেজুলেশনটির পক্ষে ভোট দিয়ে এটিকে পাশ করিয়ে দিয়েছেন।
ইমিগ্রেশন এডভোকেটরা বলছেন, পাবলিক চার্জ আইনটি আবার ফিরে এলে আত্মীয়স্বজনদের গ্রীনকার্ড নিয়ে এদেশে আগমনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্টদের আর্থিক স্বচ্ছলতায় সবসময়ই ঘাটতি থাকে। এ দেশে আসার পর পাঁচ বছর কোন সরকারি বেনিফিট নিলে স্ট্যাটাস এডজাস্ট এর বেলায় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমখি হতে হবে।
রেজুলেশনটি উত্থাপনকালে ক্যানসাস থেকে নির্বাচিত সিনেটর রজার মার্শাল বলেন, দেশ ৩১ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে জর্জরিত। দক্ষিণাঞ্চলে মাইগ্র্যান্ট সংকট চলছে। এমতাবস্থায় আমেরিকা ইমিগ্র্যান্টদের বেনিফিটের ভার বহন করতে প্রস্তুত নয়। তাই পাবলিক চার্জ বাতিল সংক্রান্ত বাইডেনের আদেশটি রহিত করা হোক।