সব প্রশংসা মহান আল্লাহর
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:১৯ এএম, ২৩ জুন ২০২৩ শুক্রবার
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্যিমামা উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একজন—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তারই এবাদত করি, তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তারই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তার অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।