বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দাঙ্গার জন্য ভিডিও গেমস-সোশ্যাল অ্যাপকে দায়ী ম্যাক্রোর

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ১ জুলাই ২০২৩ শনিবার

 

চতুর্থ রাতের মতো মারাত্মক দাঙ্গা, লুটপাট এবং সহিংসতায় উত্তাল ফ্রান্স। বিক্ষোভ দমাতে দেশটির পুলিশ আজ শনিবার ফ্রান্সজুড়ে ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে সাঁজোয়া যান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এ দাঙ্গা-সহিংসতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও ভিডিও গেমসকে দায়ী করেছেন। খবর আরটি ও গার্ডিয়ানের।

গত মঙ্গলবার প্যারিসের উপকণ্ঠে পুলিশের গুলিতে এক তরুণ নিহত হওয়ার পর ফ্রান্সে এই দাঙ্গা শুরু হয়। গত রাতে সর্বশেষ দফা গোলযোগের সময় প্যারিসে বহু দোকানপাট লুট হয়, অনেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে অ্যাপল স্টোর থেকেও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ভবনেও।

গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে ম্যাক্রো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও গেমস এ দাঙ্গাকে বেশি করে উসকে দিতে সাহায্য করছে। এ সময় তিনি উল্লেখ করেছেন, গত তিন রাতের দাঙ্গায় গ্রেপ্তারকৃতদের এক তৃতীয়াংশই কিশোর বা অনেক অল্পবয়সী।

ম্যাক্রো বলেছেন, শিশু ও কিশোরদের মধ্যে ইন্টারনেটের একটি খারাপ প্রভাব পড়ছে।

সহিংসতার বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সাম্প্রতিক দিনের ঘটনাগুলোতে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্কগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করছে। 'আমরা দেখেছি স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক এবং আরও বেশ কিছু মাধ্যমে তারা হিংসাত্মক সমাবেশের আয়োজন করছে', বলেন ম্যাক্রো।  

 
এদিকে গার্ডিয়ান বলছে, ২০১৮ সালে ইয়োলো ভেস্ট আন্দোলন শুরুর পর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবার তার নেতৃত্বে গভীর সংকটে পড়েছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলজেরীয় এবং মরোক্কান বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাহেল এম গত মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। যে পুলিশ অফিসারের গুলিতে নাহেল মারা যান, তিনি তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছেকৃতভাবে খুনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

নাহেলের মৃত্যু ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং সংখ্যালঘু জাতি-গোষ্ঠীর মানুষদের প্রতি পুলিশের বৈষম্যমূলক আচরণের ব্যাপারে ক্ষোভ উস্কে দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পুরো ফ্রান্স সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল।

শনিবার ভোর নাগাদ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে আমরা ৪৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রজাতন্ত্রের জয় হবে দাঙ্গাকারীদের না বলে এসময় উল্লেখ করেন তিনি।  

এর আগে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন বলেছেন, ১৭ বছর বয়সী নাহেলের মৃত্যুতে যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে তা তিনি বুঝতে পারেন। তবে এই সহিংসতা কোনো যুক্তিতেই মানা যায় না।