নজিরবিহীন কলংকজনক ঘটনার উদ্ভব
সোসাইটির সভায় তুমুল হট্টগোল
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:২৮ পিএম, ৭ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার
হাতাহাতি, চেয়ার ও পানির বোতল নিক্ষেপ
আজকাল রিপোর্ট-
হট্টগোল, হাতাহাতি, চেয়ার ছোঁড়া, পানির বোতল নিক্ষেপ ইত্যাদি সর্বপ্রকার নিম্ন রুচির সংঘাতের মধ্য দিয়ে কলংকিত হলো বাংলাদেশিদের আমব্রেলা সংগঠনের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সোসাইটি। ঐক্যের প্রতীক এই সংগঠনটির ইতিহাসে সূচিত হলো এক কলংকজনক অধ্যায়।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে গত রোববার ২ জুলাই আয়োজিত সোসাইটির কার্যকরি কমিটির সভায়। এ ঘটনায় বিপর্যস্ত সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী প্রাণপন চেষ্টা করেও সংঘর্ষে লিপ্ত কর্মকর্তাদের নিবৃত্ত করতে পারেননি। প্রথমে ঘুষোঘুষি শুরু হয় সোসাইটির সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দীন দেওয়ান ও কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেনের মধ্যে। এক পর্যায়ে মহিউদ্দীন দেওয়ান তার প্রতি চেয়ার নিক্ষেপ করেন। এতে আহত হন নওশেদ হোসেন। এতে তার সর্মথকরা চড়াও হন মহিউদ্দীনের ওপর। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চেয়ার এসে পড়ে সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরীর গায়েও। ক্রীড়া সম্পাদক মইনুল উদ্দীন মাহবুব ক্ষুব্ধ মহিউদ্দীনকে জড়িয়ে ধরেও থামাতে পারছিলেন না। বোতল নিক্ষেপে আহত হন সহ-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। ভয়ে ফারহানা চৌধুরী অন্য রুমে গিয়ে আশ্রয় নেন। কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তাদের বলতে শোনা যায়, অফিসের বাইরে আয়, খেলা হবে। এক পর্যায়ে মহিউদ্দীন দেওয়ান সভা ত্যাগ করে চলে যান।
এর পর অনুষ্ঠিত হয় কার্যকরী কমিটির সভা। সভাশেষে সোসাইটির নবগঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের পরিচয় পর্ব সম্পন্ন হয়।
এর মধ্যে আঘাতপ্রাপ্ত নওশেদের আঙ্গুল ফুলে কালো হয়ে যায়। তিনি ৯১১-তে কল করেন এবং পুলিশ এলে তাদেরকে ঘটনাটি অবহিত করেন। এম্বুলেন্সের ভেতরে তার আঙ্গুলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
সোসাইটিতে এই সংঘর্ষের ব্যাপারে সভাপতি আব্দুর রব মিয়ার দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটেছে। নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। তবে আমি ও সাধারণ সম্পাদক আপ্রাণ চেষ্টা করেছি পরিবেশ শান্ত রাখতে। শেষে মহিউদ্দীন দেওয়ান ও নওশেদকে মিলিয়ে দিয়েছি। সভা শেষ করে আমি, রুহুল আমিন সিদ্দিকী ও ফারুক চৌধুরী চলে আসি। পরে জানতে পেরেছি নওশেদ তার আহত হবার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছে।
সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, ট্রাস্টি বোর্ডের ১২ জনের মধ্যে ১১ জন ইতোমধ্যেই নির্বাচিত হয়েছেন। একটি পদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই সংঘাতের সুত্রপাত। কমিউিনিটির একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে ট্রাস্টিবোর্ডে রাখা নিয়ে কমিটিতে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করেই নাকি এই সংঘাতের সুত্রপাত। ট্রাস্টিবোর্ডের ১২তম কূন্য পদে প্রার্থী প্রস্তাবিত নাম ছিল আব্দুল আজিজ ও তোফয়েল আহমেদ চৌধুরী।