বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৪১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টিতে ভাসছে দিল্লি, স্কুল বন্ধ

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৭:৫১ এএম, ১০ জুলাই ২০২৩ সোমবার

 

প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সব স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে। গতকাল রবিবার এ কথা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত দুই দিন ধরে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লির জনজীবন। ৪১ বছর এটা সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার (মিমি)। ১৯৮২ সালের পর জুলাই মাসে কোনো এক দিনে এই প্রথম এত পরিমাণে বৃষ্টি হলো দিল্লিতে। ১৯৮২ সালের ২৫ জুলাই এক দিনে দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছিল ১৬৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার। ১৯৫৮ সালে ২১ জুলাই এক দিনে দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছিল ২৬৬ দশমিক ২ মিলিমিটার। আগামী দুই-তিন দিন আরো বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

দুর্যোগের জেরে গতকাল সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে কেজরিওয়ালের সরকার। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি একই নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয়কেও। এই বৃষ্টির প্রভাবে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা এবং যানজট দেখা গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে গুরুগ্রামের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অতিবৃষ্টিতে দিল্লিতে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে ৫৮ বছর বয়সি এক নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া বৃষ্টি সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় রাজস্থানে চার জন প্রাণ হারান।

দিল্লির জাকারিয়া এলাকায় ভারী বৃষ্টির জেরে বাড়ি ভেঙে দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনী। কেন্দ্রীয় জল কমিশন (সিডব্লিউসি) জানিয়েছে, দিল্লিতে যমুনা নদীর পানির স্তর বাড়ছে। কাল মঙ্গলবার বিপত্সীমা পার করতে পারে বলে আশঙ্কা। দিল্লির পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা।

উত্তর ভারতে গত দুই দিনে দুর্যোগে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ষণ পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের সঙ্গে গতকাল কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে কেরালায় গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বৃষ্টি চলছে। ১০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আস্তানায় সরানো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত বর্ষায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলো কার্যত ভেসে গেছে। বহু মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা থমকে গেছে। কেরালার প্রশাসন বৃষ্টিকবলিত এলাকা থেকে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আস্তানায় সরানোর ব্যবস্থা করেছে। —আনন্দবাজার পত্রিকা