বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১   ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফ্যাটি লিভারের যত সমস্যা

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৫৭ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার

বাংলাদেশের ৩৩ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভার সমস্যা আক্রান্তু। অর্থাৎ প্রতি তিনজনের একজনই এই রোগে আক্রান্ত, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা ফ্যাটি লিভারে বেশি আক্রান্ত।

যকৃত বা লিভারে চর্বির উপস্থিতিকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। যদি এর কারণ হিসেবে মদ্যপানের ইতিহাস না থাকে, তবে তাকে ননঅ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি) বলা হয়।

ফ্যাটি লিভারের কারণ:-


চাহিদার অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ ও শারীরিক পরিশ্রমবিহীন জীবনযাপন লিভারে চর্বি জমার প্রধান কারণ। এ ছাড়া মেটাবলিক সিনড্রোম (উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ–২ ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত চর্বির মাত্রা, স্থূলতা, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড), কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, হেপাটাইটিস সি, উইলসন ডিজিজ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ইত্যাদি কারণেও লিভারে চর্বি জমতে পারে।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণসমূহ:-

ফ্যাটি লিভারের রোগীরা কোনো উপসর্গবিহীন থাকতে পারেন। তবে কারও পেটের ডান দিকে ব্যথা বা অস্বস্তি¡ লাগা, ক্লান্তি অনুভব করা, ঝিমুনি ভাব, লিভারের গুরুতর রোগ, জন্ডিস, ওজন কমে যাওয়া, শরীর ফুলে যাওয়াসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সূত্র : জাগো

ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা:-

ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হলে লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন ফ্যাটি লিভারের প্রধান চিকিৎসা।

১. খাবারে ক্যালরির পরিমাণ কমাতে হবে। খাবারে শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। খাসি ও গরুর মাংস কমিয়ে শাকসবজি, ফল ও মাছের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, মদ্যপান পরিহার করুন।

২. শারীরিক পরিশ্রম ফ্যাটি লিভার চিকিৎসার জন্য খুব গুরত্বপূর্ণ। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা (নিয়মিত হাঁটা, সাইকেলিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদি) প্রয়োজন।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৪. লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে ফ্যাটি লিভারের ওষুধ গ্রহণ করুন।

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, রক্তে অতিরিক্ত চর্বির সঠিক চিকিৎসা নিন।