হলে আসনের দাবিতে ছাত্রীদের ফের বিক্ষোভ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:৩৮ এএম, ৩১ জুলাই ২০২৩ সোমবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
রবিবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গি মোড় থেকে শতাধিক ছাত্রী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের (শেখা হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া) আবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া হোক।
খবর পেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের গেটের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। তাঁরা জানান, ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তাঁরা এসেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে তাঁরাও একমত। কিন্তু নতুন হল খুলে দিতে পারছেন না কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে জটিলতার কারণে।
আন্দোলনরত ছাত্রীরা নানা ধরনের স্লোগান দেন, ‘দাবি মোদের একটাই—অবিলম্বে সিট চাই’। ‘থাকব না আর থাকব না, গণরুমে থাকব না’। ‘গণরুমের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’।
এ ব্যাপারে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহসিনা রহমান মীম বলেন, ‘গত ২৩ তারিখ যখন আমরা ভিসি স্যারের কাছে এসেছিলাম।
তখন তিনি বলেছিলেন চার দিন পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এক সপ্তাহ পার হলেও প্রশাসন থেকে কিছু জানানো হয়নি। নতুন হলে কবে আসন দেওয়া হবে। কখন আমরা গণরুম থেকে মুক্তি পাব তা জানতে এখানে এসেছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘খালেদা জিয়া হলে যারা আন্দোলনে ছিলেন তাঁদের আসন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে প্রশাসন।
যাতে তাঁরা আর আন্দোলনে না আসে।’
তবে এই অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শারমিন সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আমি ১৫টি আসন ফাঁকা করেছি গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য। তবে কে আন্দোলনে যাবে কে আন্দোলনে যাবে না এ রকম কোনো মন্তব্য করিনি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মনজুরুল হক বলেন, ‘নতুন আরো দুটি হলের চাবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু লোকবলের অভাবে হল চালু করতে পারছি না। ইউজিসির সঙ্গে মিটিং হয়েছে। ইউজিসি জানিয়েছে, লোকবল নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে দ্রুত।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৩ জুলাই নতুন হলে আসনের দাবিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে। তখন প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও প্রশাসন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি তাদেরকে।