ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ আসছে গাজায়
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫৪ এএম, ২ আগস্ট ২০২৩ বুধবার
সামনের দিনগুলোতে একটি ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে গাজা। সোমবার জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজির (ইউএনআরডব্লিউএ) গণমাধ্যম উপদেষ্টা আদনান আবু হাসনা এ সতর্কতা জারি করেছেন।
চলমান আর্থিক সংকট অব্যাহত থাকলে আর দাতা দেশগুলো তাদের তহবিলের পরিমাণ আরও কমিয়ে দিলে গাজা এই দুর্ভিক্ষে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
আবু হাসনা দ্য নিউ আরবকে বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান বন্ধ করার একটি বড় সম্ভাবনা রয়েছে। আর সহায়তা প্রদান বন্ধ করলে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা সামনের মাসগুলোতে একটি প্রকৃত দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করবে।’
তিনি আরও বলেন ‘আমরা সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনটি বিপজ্জনক মাসের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। যখন আমরা বেতন দিতে পারব না তখন প্রোগ্রাম ও পরিষেবার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। আর তা এই গাজার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’
আবু হাসনা গাজার পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বসবাস করছেন।
গাজা উপত্যকায় প্রায় ১.২ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু নিয়মিতভাবে ইউএনআরডব্লিউএ থেকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পান বলে জানান তিনি। এর মধ্যে দিনে দুই বেলা খাবার সরবরাহ করতে পারে না এমন শরণার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ।
আবু হাসনা জানান, মানবিক বিপর্যয় এড়াতে স্থানীয়দের খাদ্যসামগ্রী কিনতে জরুরিভাবে ৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রয়োজন বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে জানানো হয়েছিল। লেবানন ও সিরিয়ায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নগদ সহায়তায় আরও ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউএনআরডব্লিউএ থেকে ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে জো বাইডেন প্রশাসন পুনরায় সহায়তা প্রদান শুরু করে।
আবু হাসনার মতে, আগামী বছরগুলোতে তাদের আর্থিক সাহায্য কমিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাতা দেশ। দাতা দেশগুলোর রাজনৈতিক পরিবর্তন ইউএনআরডব্লিউএ কে ঝুঁকির মুখে ফেলে বলে জানান তিনি।
উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, যখন রিপাবলিকান ও চরম ডানপন্থিরা ক্ষমতায় আসে তখন ইউএনআরডব্লিউএকে অনুদান ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। আবার যখন ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় আসে তখন তা পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।