বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোঝিনের মৃত্যু
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:১৭ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
ওয়াগনারের অভিযোগ ভূপাতিত করা হয়েছে
আজকাল ডেস্ক -
বিমান দুর্ঘটনায় রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধাদল ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের মৃত্যুর প্রকৃত পরিস্থিতি গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অস্পষ্ট। বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞের ধারণা, দেশের সামরিক নেতৃত্বের পতন ঘটাতে গত জুনে স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহ করার কারণে প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়ে থাকতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রুশ কর্তৃপক্ষ বিমান বিধ্বস্তের কোনো নির্দিষ্ট কারণ জানায়নি। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, প্রিগোঝিন মেধাবী মানুষ ছিলেন। তবে তিনি খারাপ ভাগ্য নিয়ে এসেছিলেন। জীবনে তিনি মারাত্মক কিছু ভুল করেছিলেন। প্রয়োজনীয় কিছু লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টাও করেছিলেন। তিনি নিজের জন্য ও আমার নির্দেশে সেগুলো করেছিলেন।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত বুধবার সন্ধ্যায় মস্কোর উত্তর-পশ্চিমের তিভিয়ের অঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া এমব্রায়ার লিগ্যাসি বিমানের যাত্রী ছিলেন প্রিগোঝিন। দুর্ঘটনায় বিমানের সাত যাত্রী ও তিন ক্রুর সবাই মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
কিন্তু ওয়াগনার গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সামরিক বাহিনী বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে। রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিমানটিকে ভূপাতিত করতে পারে। যদিও এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি তারা।
বিশ্লেষক সংস্থা আর পলিটিক কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা তাতিয়ানা স্তেনোভায়া বলেন, বিমান দুর্ঘটনার কারণ যা-ই হোক না কেন, সবাই এটাকে প্রতিশোধ হিসেবেই দেখবে।
দুর্ঘটনার পেছনে কী তাহলে পুতিন! ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ওই বিমান দুর্ঘটনা ও প্রিগোঝিনের মৃত্যুর সঙ্গে ইউক্রেনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে আমরা এর সঙ্গে জড়িত নই। আমি মনে করি, সবাই জানে এর সঙ্গে কে জড়িত।’
এই দুর্ঘটনার পেছনে পুতিনের হাত থাকতে পারে বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘সেখানে কী হয়েছিল, তা জানি না। তবে আমি মোটেও অবাক হইনি।’
এদিকে, প্রিগোঝিনের মৃত্যুর পর আধাসামরিক বাহিনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। বাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা। প্রিগোঝিনকে শ্রদ্ধা জানাতে সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনারের কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হন ভাড়াটে যোদ্ধারা। সেখানে অবস্থান করা একজন বলেন, ‘আমরা কমান্ডারকে হারিয়েছি। আমরা অন্য কমান্ডারদের অনুসরণ করব। ওয়াগনারের বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’