আদালতে জালালাবাদ এসোসিয়েশন
মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১৫ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার
আজকাল রিপোর্ট -
জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা অবশেষে কুইন্স কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করলো অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ৩১ আগষ্ট সংগঠনটির পক্ষে এটর্নি যোশেফ এফ ম্যাটন মামলাটি দায়ের করেন। মামলার ইনডেক্স নাম্বার ৬৫৪৮৫৮/২০২৩। বিবাদীর তালিকায় মইনুল ইসলামসহ ওয়াশিংটন ইকুইটি এন্ড ফান্ডিং করপ, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, সাবেক সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী, ময়নু জামান চৌধুরী ও মেগা হোম রিয়ালিটির নামও রয়েছে। জালালাবাদ সংগঠনের তহবিল থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার উত্তোলন ও তা ব্যক্তিগত খাতে ব্যবহারের অভিযোগেই এই মামলা।
৩১ আগস্ট দায়ের করা এই মামলার ব্যাপারে মইনুল ইসলামের দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি ‘আজকাল’কে বলেন, নতুন কোন মামলার খবর জানি না। কয়েকমাস আগে একটি মামলার কথা শুনেছিলাম।
এদিকে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এটর্নি মঈন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনের অর্থ কেলেংকারির তদন্ত ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস ও আদালতে তদন্তাধীন থাকার কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি আজকালকে বলেছেন, আমি ডিস্ট্রিক্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে রয়েছি। এমতাস্থায় নিরপেক্ষতা রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিলাম। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেন, তার পদত্যাগপত্র আমরা পেয়েছি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর কার্যকরি কমিটির বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
একটি অলাভজনক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার অর্থ কেলেংকারির নির্দিষ্ট অভিযোগে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস তদন্ত করছে বছরের শুরু থেকেই। ইতোমধ্যে সাবেক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ইন্টারভিউ নিয়েছে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস। সংগঠনের তহবিল থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার উত্তোলন ও তা ব্যক্তিগত খাতে ব্যবহারের অভিযোগ আনে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র কার্যকরি পরিষদ। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস বাদী পক্ষের স্টেটমেন্ট গ্রহণ করে। তারা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সংবিধানের কপি ও বিভিন্ন সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন। এটি একটি ক্রিমিনাল কেস হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কেসটি নিয়ে এখনও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এটর্নি অফিস জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম ও সাবেক ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বক্তব্যও নিয়েছে। করোনাকালীন সময়ে নন প্রোফিট সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আড়াই লাখ ডলার কিভাবে ওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে একটি কনস্ট্রাকশন ফামের্র একাউন্টে জমা হলো তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারি অফিসাররা। এদিকে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের গত সাধারণ সভায় সাময়িক বহিস্কৃত মইনুল ইসলামকে সংগঠন থেকে পুরোপুরি বহিস্কার করা হয়েছে। মইনুল এর পরপরই জালালাবাদ এসোসিয়েশনের পাল্টা কমিটি গঠন করেছেন এবং সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।
আইনি পদক্ষেপের ব্যাপারে জালালাবাদের সভাপতি বদরুল খানের দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি বলেন, মইনুল ইসলামের ব্যাপারটি আইনি প্রক্রিয়াধীন আছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে সংগঠনের অর্থ লোপাট করে কেউ রেহাই পাবে না। জবাবদিহিতার আওতায় একদিন আসতেই হবে। মনে রাখতে হবে জালালাবাদের অর্থ সিলেটবাসীদের আমানত। সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম বলেন, জালালাবাদ এসোসিয়েশন সিলেটবাসীর আস্থার স্থল। আমার বিশ্বাস আইনি প্রক্রিয়াতেই বিষয়টির ফয়সালা হবে। সত্যের জয় হবে।