বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ার পথে কিম

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:২০ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

 

মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের জন্য ভ্লাদিভোস্তকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, কিম বিদেশ সফরের জন্য যে সাঁজোয়া ট্রেনটি ব্যবহার করেন সেটি পিয়ংইয়ং ছেড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবারের প্রথম দিকে বৈঠকটি হতে পারে বলে ধারণা। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স আগেই জানিয়েছিল, সামনের দিনগুলোতে রাশিয়া সফর করবেন কিম।

যদি পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকটি ঠিকঠাক মতো চলে তবে এটি হবে উত্তর কোরিয়ার নেতার চার বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং মহামারির পরে প্রথম সফর।

এর আগে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন পার্টনার সিবিএসকে বলেছিলেন, বৈঠকে দুই নেতা সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার ইউক্রেনে যুদ্ধে সমর্থন দেওয়ার জন্য মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার পতনের পর পুতিনের সঙ্গে তার প্রথম শীর্ষ বৈঠকের উদ্দেশে ২০১৯ সালে ভ্লাদিভস্তক সফর করেছিলেন কিম। তখন ট্রেনে সফর করেছিলেন তিনি।

তার এই সফরে অন্তত ২০টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকবে বলে শোনা গেছে। ফলে ট্রেনটি ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতিতে ছুটতে পারবে না। ভ্লাদিভোস্তকে তার যাত্রা পুরো দিন লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র সমঝোতা ‘সক্রিয়ভাবে অগ্রসর’ হওয়ার নতুন তথ্য পাওয়ার পরে সম্ভাব্য বৈঠকটি হতে পারে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু সাম্প্রতিক উত্তর কোরিয়া সফরের সময় ‘পিয়ংইয়ংকে রাশিয়ার কাছে আর্টিলারি গোলাবারুদ বিক্রি করতে রাজি করানোর’ চেষ্টা করেছিলেন।

কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস থেকে অঙ্কিত পান্ডা অনুসারে, শীর্ষ সম্মেলনটি এমন এক সময়ে হবে যখন রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া উভয়ের কাছেই এমন কিছু রয়েছে যা অন্য দেশ চায়।

তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এখন যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হল উভয় পক্ষ যদি উপযুক্ত মূল্য খুঁজে পায় তবে তারা অপরের সহায়তার জন্য অর্থ প্রদান করতে ইচ্ছুক।’

রাশিয়া সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার কাছে খাদ্য ও কাঁচামালের বিনিময়ে আর্টিলারি শেল এবং রকেট আর্টিলারি যুদ্ধাস্ত্রসহ প্রচলিত অস্ত্র এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে অব্যাহত সমর্থন চাইবে।

জুলাই কিম এবং শোইগুর মধ্যে বৈঠকে প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে হাওয়াসং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল। কোভিড মহামারির পর এই প্রথম বিদেশি অতিথিদের জন্য দেশের দরজা খুলে দিয়েছেন কিম।