তানজিম সাকিবের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে মুখ খুলল বিসিবি
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫৬ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
এশিয়া কাপের মঞ্চে জাতীয় দলে অভিষেক হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করেছেন তিনি। প্রথমে ব্যাট হাতে ছোটখাটো এক ক্যামিও ইনিংস খেলার পর বল হাতে তো শুরুতে জোড়া উইকেট নিয়েছেনই, এরপর শেষ ওভারে প্রবল চাপের মুখে দারুণ বোলিংয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তরুণ এই পেসার।
অভিষেকেই এমন দারুণ নৈপুণ্যের পর স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন তানজিম। আর তাই সমর্থকদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তবে এর মধ্যেই তার পুরনো কিছু ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। এরমধ্যে কর্মজীবী নারীদের হেয় করে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসই বেশি সমালোচিত হচ্ছে। যা নিয়ে বেশ তোপের মুখে পড়েছেন জুনিয়র সাকিব।
এসব নজরে আসার পর তানজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
এদিকে দেশের প্রথমসারির এক গণমাধ্যমকে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ওর সঙ্গে কথা বলছি। কথা বলে নিই, তারপর জানাব। ওর একটা ভুল হয়েছে, আমরা সেই বিষয়টা ওর কাছ থেকেই জানতে চাচ্ছি।’
২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তানজিম সাকিব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। এই পোস্ট নিয়েই মূলত বিতর্কের সূত্রপাত। ওই পোস্টে সাকিব লিখেছিলেন, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।
স্ত্রীকে যেই স্বামী বলে- আমার স্ত্রীর চাকরি করার দরকার নেই। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি হয়ে আছে। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়। আসলে স্ত্রী স্বামীর মর্যাদা বোঝেনি, স্ত্রী নিজের মর্যাদাও বোঝেনি। ঘর একটি জগৎ।
একই পোস্টের শেষে বলা হয়েছে, ‘অতএব মা-বোনেরা নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে স্বামীর আনুগত্য ও বাসায় অবস্থান করে রানির হালাতে অবস্থান করুন। অতএব মা-বোনেরা দুনিয়া কামাতে যেয়ে আখেরাত না হারিয়ে ঘরে অবস্থান করে স্বামী-সন্তানের খেদমত করে দুনিয়া ও আখেরাত দুটিই কামাই করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তাওফীক দান করুন। আমিন।’
পোস্টের শেষে একটি মাইক্রোফোনের ইমোটিকনসহ ‘শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)’ নামটি লেখা আছে।
তানজিমের এই পোস্টের স্ক্রিনশট এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টটি এখন আর তানজিমের ফেসবুক পেজে পাওয়া যাচ্ছে না।