বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সংবর্ধনায় অনুপস্থিত এডামস

হোকুলের প্রশংসায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:২৯ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার


   
আজকাল রিপোর্ট -
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গর্ভনর ক্যাথি হোকুলকে ধন্যবাদ জানালেও মেয়রের নামটিও নিলেন না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রেসিডেন্ট তিন দিন নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থান করেন। বুধবার রাতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সন্মানে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি গঋর্ণর হোকুলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই মহান সিটি জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারন অধিবেশনের আয়োজন করেছে। হোস্টিং করেছে। এ জন্য ক্যাথি হোকুলকে ধন্যবাদ। উল্লেখ্য এই অনুষ্ঠানে মেয়র এডামস আমন্ত্রিত থাকলেও তিনি সেখানে যান নি। প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় সিটি মেয়রের নামটি পর্যন্ত উল্লেখ না করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডেমোক্রেটিক পার্টির বেশ কয়েকজন নেতা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
এই সংবর্ধনার আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন গঋর্ণর ক্যাথি হোকুলের সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বসেন। এসাইলাম প্রার্থীর সংকট নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনাকে ফলপ্রসূ বললেও কোন ঘোষণা আসেনি। আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুত দেন নি প্রেসিডেন্ট। বরং স্টেট কর্তৃক এসাইলাম প্রার্থীদের অস্থায়ী ‘ওয়ার্ক পারমিট’ ইস্যুর উদ্যোগে আপত্তি জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরেই স্টেট প্রশাসন মাইগ্র্যান্টদের ওয়ার্ক পারমিট দেবার কথা বলে আসছিল। স্টেটের যুক্তি, ১ লাখ ১৬ হাজার এস্ইালিকে ওয়ার্ক ফোর্সের আওতায় আনতে পারলে স্টেট উপকৃত হবে। এই জনশক্তিকে কাজে লাগানো যাবে। ট্যাক্সের আওতায় আসায় স্টেট লাভবান হবে। তারা শুধু স্টেটের ঘাড়ে বোঝা হিসেবে থাকবে না। ফেডারেল থেকে ওয়ার্ক পারমিট পেতে ১ থেকে ২ বছর লেগে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় স্টেট অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট দেয়ার চিন্তা করছিল। কিন্তু ফেডারেল সরকার এ ধরনের উদ্যোগকে নিরুৎসাহিত করেছে।
বুধবার প্রেসিডেন্টের দেয়া মধ্যাহ্নভোজে গঋর্ণর হোকুল যোগ দেন। সাইড লাইনে তারা প্রায় পাঁচ মিনিট নিউইয়র্কের অভিবাসী সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। সিটি মেয়র এরিক এডামস এই ভোজ সভায় আমন্ত্রিত থাকলেও যোগ দেন নি। গত তিন মাস ধরেই বাইডেন ও তার প্রশাসনের সাথে মেয়র এরিক এডামসের শীতল সম্পর্ক চলছে। মেয়র মনে করেন, সীমান্ত সংকটের কারণে লক্ষাধিক রিফিউজি সিটিতে আশ্রয় নিয়েছে। এত মানুষের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সংকুলান সিটির পক্ষে এককভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু এ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন এগিয়ে আসছে না। বাইডেনের কারণেই সিটি ব্যর্থ হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, মনে হয় প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্ক সিটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন। তার এই বক্তব্যের পর ওয়াশিংটনে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বাইডেনের ২০২৪ নির্বাচনে এডামসকে কোর নির্বাচনী টীম থেকে বাদ দেয়া হয়।
প্রেসিডেন্টের সাথে বুধবারের বৈঠককে খুবই ফলপ্রসূ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন গঋর্ণর হোকুল। তিনি বলেছেন, প্রশাসনের অনুরোধে একদিন আগেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা প্রধান বিষয় ছিল মাইগ্র্যান্ট ইস্যু। তিনি এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ এই সংকট মোকাবেলায় সিটিসহ স্টেটের ১৫ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি দেখা দেবে । আর এর প্রধান কারণ মাইগ্রান্ট ইস্যু। ফেডারেলের সহায়তা ছাড়া এ ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।