দেয়ালে খোদাই করা পৃথিবীর একমাত্র কোরআন শরিফ
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫২ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার
পবিত্র কোরআন মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ। এর সংরক্ষণ ও সম্মানে এ পর্যন্ত অসংখ্য প্রতিলিপি তৈরি হয়েছে। এমনকি স্বর্ণে লেখা কোরআনের কপিও রয়েছে পৃথিবীতে। তবে এখন যে কোরআনের কথা বলছি, তা সম্পূর্ণভাবে দেয়ালে খোদাই করে লেখা।
আর্কিটেকচার ও স্থাপত্যশৈলীর অভূতপূর্ব এই নিদর্শনের দেখা মিলবে মিসরের রাজধানী কায়রোতে। সেখানকার একটি মসজিদে ৮০০ মিলিয়ন মিসরীয় পাউন্ড খরচ করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এই মসজিদের অনন্য বৈশিষ্ট্যটি হলো- তার দেয়ালে কোরআনের একেকটি পারা খোদাই করা হয়েছে একেকটি স্বতন্ত্র কক্ষে। এভাবে সুরা ফাতিহা থেকে সুরা নাস পর্যন্ত বিন্যস্ত।
কায়রোর অসাধারণ ও নান্দনিক এই মসজিদের নাম ‘মাসজিদ আল-মিসর’। সরকারিভাবে এটি ‘ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত। দেয়ালে পবিত্র কোরআন খোদাইয়ের একমাত্র মসজিদ হিসেবে এটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে।
মসজিদটিতে একসঙ্গে ১ লাখেরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। গত রমজানে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
এই মসজিদ আরও দু’টি বিষয়ে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে। প্রথমত, কাঠের তৈরি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মিম্বরের কারণে। হাতে তৈরি ওই মিম্বরের উচ্চতা ৫৪ ফুট উঁচু। দ্বিতীয়ত, তার রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফানুস, যা মসজিদের অভ্যন্তরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফানুসটির ওজন ৫০ টন। চারতলা বিশিষ্ট এ ফানুসের ব্যাস অন্তত ২২ মিটার।
এদিকে, গত জুন-জুলাইয়ে মসজিদটির একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দাবি করা হয়- এটি ঐতিহ্যবাহী উজবেক শহর বুখারায় অবস্থিত। তবে সূত্র নিশ্চিত করেছে যে আসলে মসজিদটি বুখারায় নয়; বরং কায়রোতে অবস্থিত।