সংকটে নিউইয়র্ক সিটি হাসপাতালে অভিবাসীর চাপ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৫৮ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার
আজকাল রিপোর্ট -
অভিবাসীদের অব্যাহত চাপে সামলাতে পারছে না নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলো। এতে রোগীদের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গত এক বছরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও অনেকাংশে বেড়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অরল্যান্ডো, ভেনেজুয়েলার নাগরিক। অ্যামেরিকায় আসার ছয় মাস পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি পানি, খাবার এমনকি নিজের লালা পর্যন্ত গিলতে পারতেন না। নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক হাসপাতালে খাদ্যনালী ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে থাকেন অরল্যান্ডো। এখন তিনি খেতে পারছেন, স্পষ্টভাবে কথাও বলতে পারেন।
নিজের দেশে চিকিৎসার লাগামহীন ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে অরল্যান্ডো বলেন ‘থেরাপি, কেমো এগুলো সব সাধ্যের বাইরে, ওখানে থাকলে আমি হয়তো মারাই যেতাম!’
অরল্যান্ডো এক লাখ ১৬ হাজারের বেশি অভিবাসীর মধ্যে একজন, যারা ২০২২ সালের এপ্রিলে নিউইয়র্কে এসেছেন। তাদের কারণে শহরের পাবলিক হাসপাতালগুলো বিশাল চাপের মুখে পড়েছে।
নিউইয়র্ক সিটি হেলথ প্লাস হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পাঁচটি বরোতে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ হাজার নথিভুক্তহীন অভিবাসী ভ্রমণ করেছেন। এ সময় অভিবাসী নারীরা নতুন প্রায় ৩০০ শিশুর জন্ম দিয়েছেন, যাদের বেশির ভাগের জন্ম ম্যানহাটনের বেলভিউ হাসপাতালে।
নিউইয়র্ক সিটির হেলথ প্লাস হাসপাতালের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. টেড লং (যিনি অভিবাসীদের স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া তত্ত্বাবধানে সহায়তা করে থাকেন) বলেন, ‘এটি আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ। তবে এটি আমার করা সবচেয়ে জোরালো কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।’ তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে আশ্রয়প্রার্থীদের আরও সুযোগ দেয়া উচিত। তাদেরকে এগিয়ে নিতে আমাদের সাহায্য প্রয়োজন।’
লিগ্যাল হেলথের পরিচালক রেন্ডি রেটকিন বলেন, ‘আমরা পারতপক্ষে কাউকে দূরে সরিয়ে দিতে চাই না, তবে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে।’ এ সমস্যা সমাধানে রেটকিন জানান, যে রোগীদের সমস্যা গুরুতর নয় তাদের চিকিৎসা পেতে কিছুটা দেরি হতে পারে। অথবা তাদের অন্য পরিষেবার কাছেও রেফার করা যেতে পারে।
এদিকে, অভিবাসীদের ক্রমাগত চাপের কারণে শহরের অন্যান্য সামাজিক পরিষেবা যেমন আবাসন এবং পুষ্টি কর্মসূচিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাবলিক হেলথ সলিউশনের এক মুখপাত্র জানান, নতুন আগত অভিবাসীদের তালিকা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।