কানাডায় হামাসের সমর্থনে বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ট্রুডো
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার
কানাডায় হামাসের সমর্থনে বিক্ষোভের নিন্দা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ইসরায়েলের উপর হামাসের হামলার সমর্থনে কানাডায় যে বিক্ষোভ হয়েছে ও হচ্ছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই।
ট্রুডো আরো বলেন, কানাডা কখনো সহিংসতার সমর্থন করে না। তবে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারী ও হামাস সমর্থনকারী বিক্ষোভকারীদের আলাদা চোখে দেখা হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করেনি ট্রুডোর কার্যালয়।
এদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকালে ইসরায়েলের মেডিকেল সার্ভিসের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও একই তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে শুধু সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকেই ২৬০ ইসরায়েলির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, আবারও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই হামলার জন্য ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিশোধ নেওয়া মাত্র শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, তারা এরই মধ্যে গাজা সীমান্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। এর জেরে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। পাল্টা আক্রমণে গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৯০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
এর আগে সোমবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেন। সেখানে খাবার, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে, অবশিষ্ট জ্বালানি দিয়ে হাতে গোনা কয়েক দিন মাত্র চলা যাবে। এমনকি সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার আগেও, গাজার বাসিন্দারা আগে থেকেই ব্যাপক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, চলাচলে বিধি-নিষেধ ও পানির সংকটে ভুগছিল।
হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-কাশেম ব্রিগেডস হুমকি দিয়েছে, গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে নিরীহ বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ না করলে কোনো ধরনের আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই জিম্মি ইসরায়েলিদের মেরে ফেলা হবে।