যুক্তরাষ্ট্রকে চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিতে হবে যুদ্ধের প্রস্তুতি
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার
যুক্তরাষ্ট্রকে তার প্রচলিত সামরিক বাহিনী সম্প্রসারণ ও জোটকে শক্তিশালী করে এবং পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য একযোগে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি দ্বিদলীয় প্যানেল। তাইওয়ান এবং অন্যান্য ইস্যুতে চীন এবং ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার ‘স্ট্রাটেজিক পসচার কমিশন’ এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিবেশ অতীতের যে কোনো সময়, এমনকি শীতল যুদ্ধের অন্ধকারতম দিনের চেয়েও মৌলিকভাবে ভিন্ন। নিরাপত্তা পরিস্থিতির খুবই অবনতি হয়েছে। ছয় ডেমোক্র্যাট এবং ছয় রিপাবলিকানদের সমন্বয়ে গঠিত এই প্যানেল যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমান হুমকি মোকাবিলায় জরুরি এবং অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কমিশনের চেয়ার ম্যাডেলিন ক্রিডন এবং ভাইস চেয়ার জন কাইল রিপোর্টের ভূমিকায় লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আজ একটি নয়, দুটি পারমাণবিক সমকক্ষ প্রতিপক্ষের মুখোমুখি রয়েছে, যারা প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক স্থিতাবস্থা পরিবর্তনে আগ্রহী রয়েছে। এমন পরিস্থিতি যা যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেনি এবং যার জন্য এটি প্রস্তুত নয়। কমিশন বলেছে যে, একটি বড় পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি কম থাকলেও রাশিয়া এবং চীন উভয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বেড়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত বছর বলেছিলেন যে, চীন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্য সবচেয়ে গুরুতর দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং ওয়াশিংটন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগ, মিত্রতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার কৌশল অনুসরণ করবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের উচিত পুরোপুরি এবং জরুরিভাবে পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকীকরণ কর্মসূচি কার্যকর করা, যা ২০১০ সালে শুরু হয়েছে এবং সম্পন্ন হতে ৩০ বছর সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের সামরিক বাহিনী সম্প্রসারণেও জোর দিতে বলা হয়েছে।