বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাগজ-ফোমবোর্ড দিয়ে ‘সবচেয়ে বড়’ ড্রোন বানিয়ে রেকর্ড!

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৭:১৩ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার

কাগজ আর ফোমবোর্ড দিয়ে দৈত্যাকার ড্রোন বানিয়ে তাক লাগালো যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি। তাদের দাবি, আজ অবধি তৈরি হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম কোয়াডকপ্টার এটি। যদিও এই রেকর্ডের কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।

চারটি প্রোপেলারযুক্ত ড্রোনকে কোয়াডকপ্টার বলা হয়। ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির তৈরি কোয়াডকপ্টারটির মূল কাঠামো তৈরি হয়েছে অত্যন্ত হালকা ফোমবোর্ড ও কাগজ দিয়ে।

এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দৈর্ঘ্য ২১ ফুট বা ৬ দশমিক ৪ মিটার। ওজন সাড়ে ২৪ কিলোগ্রাম, যা ব্রিটিশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সীমার চেয়ে ৫০০ গ্রাম কম।

জায়ান্ট ফোমবোর্ড কোয়াডকপ্টার (জিএফকিউ) নামের ড্রোনটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেও ওড়ানো সম্ভব। গত জুলাইয়ে এর প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন হয় স্নোডোনিয়া অ্যারোস্পেস সেন্টারের একটি হ্যাঙারের ভেতর।

এর পাইলট ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির অ্যারোস্পেস সিস্টেমের প্রভাষক কিয়েরান। তিনি জানান, বড় ধরনের কোনো সমস্যা ছাড়াই ড্রোনটির প্রথম উড্ডয়ন শেষ হয়েছিল।

দৈত্যাকার ড্রোনটির মূল কাঠামো তৈরি হয়েছে ফোমবোর্ডের কয়েকটি শিট দিয়ে। এর মধ্যে স্যান্ডউইচের মতো করে বসানো হয়েছে কাগজ।

কার্বন ফাইবারের চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব, হালকা ওজন এবং কম খরচে ড্রোন কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের একটি প্রকল্প হিসেবে প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল জিএফকিউর।

ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বিল ক্রোথার বলেন, এখন এই নকশার সাহায্যে আপনি কৌশলগতভাবে কয়েকটি কাগজের টুকরো দিয়ে ২৫ কেজির আকাশযান ধরে রেখেছেন। দলটি এবার দৈত্যাকার এই ড্রোনের আকার আরও বড় করার চেষ্টা করছে।

অত্যাধুনিক আকাশপ্রযুক্তির তুলনায় কার্ডবোর্ড জাতীয় উপাদান দিয়ে ড্রোন তৈরিকে অনেকের কাছেই ছেলেখেলা মনে হতে পারে। তবে এটি কিন্তু বাস্তবিক এবং বিশাল ব্যবসা।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠান সাইপ্যাকের তৈরি ফিক্সড-উইং কার্ডবোর্ড ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেন। গত মার্চে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে, প্রতি মাসে ইউক্রেনকে শত শত ড্রোন সরবরাহ করছে তারা।

এসব ড্রোনের অন্যতম সুবিধা হলো, সৈন্যরা এগুলো সহজেই সংযুক্ত করতে পারেন এবং কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি হওয়ায় ড্রোনগুলো রাডারে ধরা পড়ার আশঙ্কাও থাকে কম।