বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতিসংঘে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল ফিলিস্তিন

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় জাতিসংঘের অন্তত ১৪ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এই নিয়ে গত তিন সপ্তাহে গাজায় জাতিসংঘের নিহত কর্মীর সংখ্যা ৫৩ জনে পৌঁছালো।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি (আনরোয়া) শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত ২১ দিনের বোমা বর্ষণে গাজায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি ও তাদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার উপত্যকার ১৫০টি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এই শিবিরগুলো পরিচালনা করে আনরোয়া।

এদিকে, গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডান পরিষদের অধিবেশনে ওই প্রস্তাব দেয়, যার পক্ষে বিপুল ভোট পড়ে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় পরিষদের ১২০ সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেয় ১৪ সদস্য। অন্যদিকে, ৪৫ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিল।

সাধারণ পরিষদে তোলা ওই প্রস্তাবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস ও নির্বিচার হামলাসহ’ সব সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দাও জানানো হয়। একইসঙ্গে বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা ও বাধাহীন ত্রাণসহায়তার আহ্বান জানানো হয়।

প্রস্তাবে চলমান সংঘাতের সময় জিম্মি বেসামরিক ব্যক্তিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাঁদের নিরাপত্তা, সুস্থতা ও তাঁদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার আহ্বানও জানানো হয়।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কোনো প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তা মেনে চলার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এই পরিষদের সদস্য হওয়ায় পাস হওয়া প্রস্তাবগুলোর নৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সঙ্গে উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য ত্রাণসহায়তা পাচ্ছেন তারা।

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু। একই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অভিযানে ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।