তুরস্ক থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিলো ইসরায়েল
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৩ রোববার
‘হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, তারা স্বাধীনতাকামী। আর ইসরায়েল হলো অবৈধ দখলদার, তারা যুদ্ধাপরাধীর মত আচরণ করছে।’ প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের এমন মন্তব্যের জেরে তুরস্ক থেকে নিজ কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইস্তাম্বুলের র্যালিতে বক্তব্য দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। সে সময় তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি ‘হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যে রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
‘ইসরায়েল গত ২২ দিন ধরে সবার চোখের সামনে ‘যুদ্ধাপরাধ’ করে যাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা নেতাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়ায়ে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি, তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার জন্য জোরও দিচ্ছে না।’
এরদোয়ান আরও বলেন, অবশ্যই, সব দেশেরই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আত্মরক্ষার নামে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করতে চাইছে। এখানে ন্যায়বিচার কোথায়?
এরদোয়ানের বক্তব্য শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ইসরায়েলি কূটনীতিকদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেন। কোহেন জানান, তুরস্কের গুরুতর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তেল-আবিব-আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, বিশ্বে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীই সবচেয়ে বেশি নীতিবান।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অতর্কিত হামলার জবাব দিতে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে ও বিস্তারলাভ করছে।
তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ
এরই মধ্যে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের অনেক টানেল ধ্বংস করার দাবিও করেছে তারা।