গাজার ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে ব্লিঙ্কেনকে যা বললেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ১১:০৪ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২৩ রোববার
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেম, গাজা ও পশ্চিম তীরকে নিয়ে একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক সমাধান পাওয়া গেলে গাজার দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। রবিবার ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে যদি একটি বিস্তৃত সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে কেবল গাজার ক্ষমতায় ফিরতে পারে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেম, গাজা ও পশ্চিম তীরকে নিয়ে একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক সমাধান ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় আমরা আমাদের পুরো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস আব্বাসের ফাত্তাহ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০০৭ সালে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজার শাসন ক্ষমতা কেড়ে নেয় হামাস। আগের বছর পার্লামেন্টারি নির্বাচনের পর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এই পদক্ষেপ নেয় তারা। ২০০৫ সালে গাজা থেকে সেনা ও অবৈধ সেটেলারদের প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। কিন্তু হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর উপত্যকায় অবরোধ জারি করে।
গত মাসে কংগ্রেসের এক শুনানিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, গাজার নিরাপত্তা ও শাসনের দায়িত্ব ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করলে তা হবে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ। গাজায় হামাস শাসনের বর্তমান অবস্থা চলতে পারে না।
এর আগে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ বলেছিলেন, ব্লিঙ্কেনকে আব্বাস বলেছেন, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। দেশটির দাবি, এর ফলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও গাজার শাসক হামাস নিজেদের পুনরায় সংগঠিত করার সুযোগ পাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির বদলে মানবিক বিরতির কথা বলে আসছেন। যদিও ইসরায়েল মানবিক বিরতির প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৈঠকে ব্লিঙ্কেন গাজায় মানবিক সহযোগিতা সরবরাহে মার্কিন প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আব্বাসকে আশ্বস্ত করেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ব্লিঙ্কেন বলেছেন ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা উচিত না। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়াশিংটন। তিনি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাননি।