রাশিয়া ও মিয়ানমারের প্রথম সামুদ্রিক সামরিক মহড়া শুরু
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১৯ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার
প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া ও মিয়ানমার। মিয়ানমারের আন্দামান উপকূলে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ‘মিয়ানমার-রাশিয়া মেরিটাইম সিকিউরিটি এক্সারসাইজ’ নামে এ যৌথ মহড়া শুরু করেছে দুই দেশ। এতে অংশ নেওয়া যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ‘অ্যাডমিরাল প্যানটেলেয়েভ’ও রয়েছে। মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউ লাইট’ এ মহড়ার একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংকে মস্কোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের রুশ নাবিকদের অনার গার্ড স্যালুট নিতে দেখা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, এরপর মিন অং হ্লাইংকে সাবমেরিন-বিধ্বংসী ডেস্ট্রয়ার অ্যাডমিরাল ট্রিবিউটসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাশিয়ার নৌবাহিনী প্রধানের অ্যাডমিরাল নিকোলাই ইভমেনভের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এ সময় তাকে জাহাজের ক্ষমতা এবং বিভিন্ন অস্ত্রের কার্যবিধি ব্যাখ্যা করেন ইভমেনভ। সাবমেরিন-বিধ্বংসী হেলিকপ্টার সম্পর্কেও বিভিন্ন সংক্ষেপে তুলে ধরেন রুশ নৌবাহিনীর প্রধান।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ মহড়া মেইক থেকে থেকে ৮৫ নটিক্যাল মাইল (১৫৭ কি.মি.) পশ্চিমে সমুদ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। এ মহড়ায় ‘আকাশপথ, সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং পানির তলদেশে বিপদ প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা’র ওপর জোর দেওয়া হবে। এটি আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমারের সামরিক শাসনের অন্যতম প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে মস্কো। দেশটি জান্তা সরকারকে অস্ত্র ও কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। মূলত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার ও রাশিয়ার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। এই অভ্যুত্থানের পর জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের সময় প্রায় ৪ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করে আসছে। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন কয়েক হাজার মানুষ।