বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব: নুর

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২৩ রোববার

সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। বেলা সাড়ে ১১টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ আজকে গণতন্ত্র, সম্প্রীতির ভাষা ভুলে গিয়ে স্বৈরাচার, সন্ত্রাস-সহিংসতার ভাষায় কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী হাত ভেঙে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। 

চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনান পিটার হাসকে হুমকি দেন। অনতিবিলম্ব রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানাই। 

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, গতকাল উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নৌকায় ভোট চেয়েছেন। সরকারি কাজ করতে গিয়ে দলীয় নেতা হিসেবে ভোট চাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যিনি নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন, তার অধীনে কি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে? দলীয় সরকারের অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। সুতরাং আগামীতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। 

তিনি বলেন, গ্রেফতার করে এই আন্দোলন থামানো যাবে না। বিরোধী দলসমূহের ১২০০০ নেতাকর্মী গত ২ সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার মাঠশূন্য করে একতরফা নির্বাচন করতে মরিয়া। নির্বাচন কমিশন সব দলের জন্য নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিত না করে তামাশার তফশিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আরেকটি প্রহসনের ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করলে যুগপৎ আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলো প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে বাধ্য হবে। 

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান খান, রবিউল হাসান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব সহসভাপতি সাব্বির হোসেন, নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ নেতাকর্মীরা।