আল-শিফা হাসপাতাল চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি ট্যাংক
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালের চারদিক থেকে ট্যাংক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এই হাসপাতালের ভেতরে শত শত রোগী রয়েছেন; যাদের মধ্যে অনেক শিশুও আছে। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালটির জেনারেটর। যে কারণে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রোগীরা এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে (ডব্লিউএইচও) বলেছে, গাজা শহরের বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতাল ‘প্রায় কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের স্থাপনার ভেতরে এবং বাইরে মরদেহ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এমনকি তাদের দাফনের ব্যবস্থাও করা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একজন প্রতিনিধি হাসপাতালের ভেতরে অবস্থানরত এক কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, হাসপাতালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এখনও বিরাজ করছে। তিনি রাতভর কয়েকটি বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময়ের শব্দ শুনেছেন।
তিনি বলেছেন, চতুর্দিক থেকে ট্যাংক দিয়ে হাসপাতালটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। হাসপাতালে প্রবেশ এবং বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনকি হাসপাতালের ভেতরের এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়াই বড় ঝুঁকি।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই এবং পর্যাপ্ত ওষুধও নেই। লোকজন মারা যাচ্ছে।
এর আগে, সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক রিজেভ বলেছেন, রোববার আল-শিফা হাসপাতালে ৩০০ লিটার জ্বালানি সরবরাহের চেষ্টা করেছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তবে হামাস তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা কয়েক ডজন শিশুর জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে তারা ইনকিউবেটরে আর থাকতে পারছে না।
সেখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন, অক্সিজেনের অভাবে ইনকিউবেটরে থাকা সাতটি শিশু মারা গেছে। অবশ্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা মার্ক বলেছেন, ইসরায়েল ওই শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও হামাস সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।