বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্কে নারী উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন রোজা

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৫:২৭ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মর্যাদাপূর্ণ ‘নারী উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩’ পেয়েছেন রোজার্স ব্রাইডাল মেকওভারের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী রোজা আহমেদ। রোজার ব্যতিক্রমী অর্জন, নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে সৌন্দর্য শিল্পের ওপর উল্লেখযোগ্য অবদানের রাখায় তিনি এই স্বীকৃতি লাভ করেন।

সোমবার ইউএস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ইউএসবিসিসিআই) উদ্যোগে নিউইয়র্কে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে রোজা আহমেদকে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর তারিখটিকে নারী উদ্যোক্তা দিবস বা উইম্যান এন্টারপ্রেনিউরশিপ ডে হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। এরই অংশ হিসেবে রোজা আহমেদকে সম্মাননা জানিয়েছে ইউএসবিসিসিআই।

২০১৭ সালে বরিশাল থেকে রোজা আহমেদ উদ্যোক্তা হিসেবে তার যাত্রা শুরু করেন। মেকআপের প্রতি তার ভালোবাসা এবং সবসময় ভালো কিছু করার ইচ্ছে থেকে কাজ করার মাধ্যমে দ্রুত সারা বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করেন রোজা। নববধূদের বিশেষ দিনে পছন্দের শীর্ষে উঠে আসে তারই তৈরি করা পণ্য। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ভাইরাল হয় তার মেকআপ ভিডিও। আর এভাবেই সৌন্দর্য শিল্পে রোজা হয়ে উঠেন একজন দিক নির্দেশক।

ব্রাইডাল মেকওভারের বাহিরেও, নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করার অংশ হিসেবে সারা বাংলাদেশে মেকআপ ক্লাস পরিচালনা করেছেন রোজা। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যেই কাজ করেছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে। এভাবেই আর্থিক স্বাধীনতা, শিক্ষা এবং প্রেরণা সন্ধানে থাকা তরুণীদের জন্য রোজা নিজেকে একজন রোল মডেলে পরিণত করেছেন।

দেশের সীমানা ছাড়িয়ে রোজার সাফল্যের গল্প এখন পৌঁছেছে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেও তিনি কাজ করেছেন মেকওভারের প্রতি নিজের ভালোবাসা নিয়ে। ফলে এখন আন্তর্জাতিকভাবেও আলোচনা পেয়েছে তার ব্র্যান্ড। চালু করেছেন নিজের পোশাকের ব্র্যান্ড ‌‘লেডি ওয়্যার’।প্রিমিয়াম গুণমান এবং ফ্যাশনযোগ্য পোশাকের গুণাগুণ বজায় রাখায় রোজা পেয়েছেন অপ্রতিরোধ্য সাড়া এবং প্রশংসা।

সৌন্দর্য এবং ফ্যাশন শিল্পে গুণমান বজায় রাখার কাজ ছাড়াও রোজা নিয়োজিত রয়েছেন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সাফল্য সত্ত্বেও ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসবেন তিনি।

তিনি জানান, বাংলাদেশে বিয়ের মৌসুমে কাজ করতে চান তিনি। দেশের ফ্যাশন জগতে উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান তিনি।