গাজায় ইসরাইলি মন্ত্রীর ছেলেসহ দুই সেনা নিহত
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৫:১৯ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার
আজকাল ডেস্ক -
গাজায় ইসরাইলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ে ইসরাইলের আরও দুই সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ইসরাইলের বর্তমান যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর ছেলে রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করার পর এখন পর্যন্ত ৯০ জন সেনা হারালো ইসরাইল।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, সংঘাতের ৬২তম দিন বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধান গাদি আইজেনকটের ছেলে গ্যাল মায়ার আইজেনকটসহ দুই সেনা সদস্য গাজায় নিহত হয়েছে।
২৫ বছর বয়সী গ্যাল মায়ার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মাস্টার সার্জেন্ট ছিলেন। অপর সেনা সদস্যের নাম জোনাথান ডেভিড ডিচ। ৩৪ বছর বয়সী জোনাথান সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মেজর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা উত্তর গাজায় যুদ্ধকালে নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন আরেক মন্ত্রী বেনি গান্তজ।
নিহত সেনা সদস্য গ্যাল মায়ার আইজেনকতের বাবা সাবেক সেনাপ্রধান গাদি আইজেনকট ইসরাইলের বর্তমান যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার একজন সদস্য।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক অভিযানের পরই গাজায় হামাসকে উৎখাত করতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধকালীন যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন, গাদি আইজেনকট ও বেনি গান্তজতাতে মন্ত্রি হিসেবে যোগ দেন।
কিন্তু হামাসকে নির্মূল করতে গিয়ে নিজের সন্তানকে হারালেন মন্ত্রী গাদি আইজেনকট। তবে গ্যাল মায়ার কিভাবে নিহত হয়েছে তা বিস্তারিত জানায়নি ইসরাইলি সেনাবাহিনী। শুধু বলেছে, উত্তর গাজায় লড়াইয়ের সময় নিহত হয়েছে গ্যাল।
তবে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে একটি সুড়ঙ্গে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে গুরুতর আহত হয় গ্যাল মায়ার। এরপর তাকে দ্রুত ইসরাইলে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
গত কয়েকদিন গাজায় বিমান হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে উত্তর গাজার পাশাপাশি দক্ষিণ গাজায় চালাচ্ছে স্থল অভিযান।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বৃহস্পতিবার গাজার দক্ষিণে বড় শহরগুলোতে হামলা চালিয়ছে ইসরাইলি বাহিনী। অন্যদিকে উত্তর গাজায় কয়েকটি এলাকায় হামাসের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে জড়িয়েছে সেনারা।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলের হামলায় আরও ৩৫০ জন নিহত হয়েছে। এর ফলে হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। যার অর্ধেকই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও ৪২ হাজার।