মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাজায় অবস্থান ও শাসন নিয়ে যা বললেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

ইসরাইলি বাহিনীর স্থায়ীভাবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় থেকে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। 

তিনি এও বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী চলে আসার পর গাজা নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, তা নিয়ে আলোচনার পথ উন্মুক্ত রয়েছে। তবে গাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা ইসরাইলের প্রতি বিরূপ মনোভাবের হবে না।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলকে তিনি এসব কথা বলেছেন বলে খবর দিয়েছে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দুটি জানিয়েছে, ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, গাজায় কয়েক শ হামাস সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন কিংবা গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার সঙ্গে জড়িত হামাস সদস্যরাও আছেন।

ইয়োভ গ্যালান্ট আরও বলেন, জাবালিয়া ও শেজাইয়াতে হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি ঘেরাও করা হয়েছে। এসব ঘাঁটিকে অপরাজেয় মনে করা হতো। বছরের পর বছর ধরে এসব ঘাঁটিকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই এসব ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

হামাসের সদস্যদের সতর্ক করে ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করবেন, তাদের সঙ্গে এক ধরনের আচরণ করা হবে। আর যারা তা করবেন না, তাদের সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করবে ইসরাইল।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় ইসরাইলের আরও ৭ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৩৩ সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে গত রোববার গাজায় তিন ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তাদের হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।