হামাসের অতর্কিত হামলায় ৭ ইসরাইলি সেনার প্রাণহানি
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরাইলের আরও ৭ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় তারা প্রাণ হারান।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এবং তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদোলু সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে আনাদোলুর খবরে ৫ সেনা নিহতের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। সোমবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ৫ম ব্রিগেডের ৮১১১তম ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা শহরের একটি স্কুলের কাছে বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণে নিহত হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মতে, স্কুল থেকে গুলি চালানো ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য এক পর্যায়ে হেলিকপ্টার গানশিপ এবং যুদ্ধবিমানকে ডাকা হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৩৩ সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে গত গত রোববার গাজায় আরও তিন ইসরাইলি সেনার মৃত্যু
ইসরাইলি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, স্থল অভিযানে অংশ নিয়ে নিহত হওয়ার পাশাপাশি ছয় শতাধিক সেনা আহত হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইয়েদিয়োত আহরোনোত জানায়, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার সেনা আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫৮ শতাংশ (তিন হাজার সেনা) হাতে-পায়ে গুরুতর জখম হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, প্রতিরক্ষা বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে দুই হাজার সেনাকে ‘বিকলাঙ্গ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তাদের হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।