মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীর আর্থিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানত ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ১২:২২ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিধনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় শতভাগ বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা থামাবে না তার দেশ। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের বিশাল আর্থিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ২০১৮ সালে জানতে পারে ইসরায়েল। তবে তা নির্মূলে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তেলআবিব ও এর ঘনিষ্ট মিত্র ওয়াশিংটন। 

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে ওয়ার্ল্ড ইন ওয়ান নিউজের (ডব্লিউআইওএন) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা হামাসের বিশাল অর্থনৈতিক শক্তি ও নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত একটি গোপন নথি ও বিস্তারিত বিবরণ হাত পায়। যা সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তার সামরিকসহ সবধরনের কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করে থাকে। 

হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কম্পিউটার থেকে পাওয়া নথিতে বলা হয়, কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদের তালিকা রয়েছে সেখানে। 

নথিগুলোর তথ্য ব্যবহার করে হামাসের অর্থ বন্ধের পাশাপাশি এবং তার পরিকল্পনাগুলো শুরুতেই ধ্বংস করে দেয়ার কাজে ব্যবহার করা যেতো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দারা যারা এই গোপন নথিগুলো পেয়েছেন তারা নেতানিয়াহু সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবহিত করেছেন। কিন্তু কেউই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। 

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদানে খনি, মুরগি পালন এবং রাস্তা নির্মাণ কোম্পানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে  টুইন টাওয়ার ভবন, আলজেরিয়ার শীর্ষ আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং তরস্কের শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত একটি লাভজনক আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে হামাস। তবে নথিতে নাম রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানও  ইসরায়েলি বা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়নি। 

ইসরায়েলি এবং মার্কিন কর্মকর্তারা উভয়ই অর্থবিষয়ক এমন তথ্যবলীকে গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হয়। এতে করে এই কোম্পানিগুলো থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ আয় হামাসের কাছে আসতে থাকে। একই সময়ে ফিলিস্তিনি এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নতুন অস্ত্র কেনে এবং ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে গত ৭ অক্টোবর সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। 

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অর্থনৈতিক যুদ্ধ বিভাগের সাবেক প্রধান উদি লেভির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, '৭ অক্টোবরের হামলায় সবাই গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছে কিন্তু আগেভাগে হামাসের অর্থ বন্ধের চরম ব্যর্থতার বিষয়ে কেউ কথা বলেনি। এই অর্থনৈতিক শক্তিই মূলত হামাসকে এত বড় হামলা চালাতে শক্তি জুগিয়েছে।' প্রবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।