মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচনকালে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ১০:৪৭ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার


হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভা
 
আজকাল রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের এক সভায় বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে অতীতের মত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। নিউইয়র্কের ফ্লোরাল পার্কের ফ্লেভার অফ ইন্ডিয়া রেস্তোরাঁয় গত ২৩ ডিসেম্বর শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত ঐক্য পরিষদের এক সভায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সংগঠনের অন্যতম সভাপতি রণবীর বড়–য়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্যের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য দেন শিতাংশু গুহ, প্রদীপ মালাকার, অসীম সাহা, চন্দন সেনগুপ্ত, বিষ্ণু গোপ, রিনা সাহা, পরেশ সাহা, রণজিৎ ভাদুড়ী, দিলীপ চক্রবর্তী, সুশীল সিনহা, সুকান্ত দাস টুটুল, হরিগোপাল বর্মণ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইতিমধ্যে বরিশাল, নেত্রকোনা ও অন্যান্য স্থানে সংখ্যালঘু প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর আক্রমণের খবর মিডিয়ায় আসছে, যা উৎকণ্ঠার কারণ। নির্যাতনের এই ধারা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে এবং নির্বাচনের পরও অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন। তাই, কেন্দ্রীয় ঐক্য পরিষদ নির্বাচনের পরেও তিন সপ্তাহ সেনাবাহিনী মাঠে রাখার যে অনুরোধ জানিয়েছে এর প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জোর সমর্থন জানানো হয়। বক্তারা বলেন, অতীতে বারবার নির্বাচনের আগে-পরে সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতন হয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত একটিরও বিচার হয়নি, যার ফলে সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্ভয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন করে।
বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন বিলটি পাশ হলে সংখ্যালঘু নির্যাতকরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় লিপ্ত হতে সাহস পেত না এবং আওয়ামী দলীয় জোট সরকার বিলটি পাশ করেনি বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
সভায় হিজলায় পঙ্কজ দেবনাথের নির্বাচনী অফিস ভেঙ্গে ফেলা ও তাঁর সমর্থকের মারধরের সংবাদটি বিশেষ গুরুত্ব পায়। তাছাড়া, বরিশাল, নেত্রকোনা, ও মুন্সিগঞ্জে সংখ্যালঘু বিরোধী বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়। সভার পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় অগ্রীম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধান, পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়।