মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ
বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৭:২৪ এএম, ৬ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার
আজকাল রিপোর্ট -
নতুন এক ধরনের করোনা ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। এর নাম জেন-১ ও এইচভি-১। নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (সিডিসি) নিউইয়র্ক সিটির প্রত্যেক বাসিন্দাকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে।
গত ১৫ দিনে নতুন করোনা জেএন.১ ও এইচভি-১ সিটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশিদের ঘরে ঘরে এই রোগ হানা দিয়েছে। বিছানায় ফেলে দিয়েছে অনেক মানুষকে। ডাক্তার অফিস ও হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভীড় বাড়ছে। কয়েকজন বাংলাদেশি ডাক্তার জানান, গত ১০ দিনে রোগীদের কল প্রাপ্তির সংখ্যা ৩ গুন বেড়ে গেছে। যারা এপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করেন তাদের অধিকাংশই সর্দি, কাশি, কফসহ বুকে ব্যথা ও জ্বরের কথা বলছেন। আমরা দ্রুত কোভিড টেস্ট করার পরমর্শ দিচ্ছি। তাদেরকে বলছি, কোভিড টেস্ট না করে ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট না নিতে। ডাক্তার অফিসগুলোতে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে তা ব্যাপকভাবে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। যারা কোভিড টেস্ট পজিটিভের কথা জানাচ্ছেন তাদের ফোনেই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে ডাক্তার অফিসে আসার জন্য। পাশাপাশি মানুষের ভীড় বা জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য রোগীদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
বাংলাদেশি ডাক্তার বাবলু বসাক বলেন, এই ধরনের উপসর্গের শতকরা ৭০ ভাগ রোগী এপয়েন্টমেন্ট চাচ্ছেন। আমরা কোভিড টেস্ট করে ডাক্তার অফিসে আসার পরমর্শ দিচ্ছি। তিনি বলেন, এই কোভিড ভ্যারিয়েন্টের নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তা হলো ঘুমের সমস্যা ও উদ্বিগ্নতা। তবে এই কোভিডে ক্যাজুয়ালিটি নেই বললেই চলে। অবশ্য রোগীকে ভুগতে হয় বেশ কয়েকদিন।
নিউইয়র্ক সিটি হেলথ ডিপার্টমেন্ট গত বুধবার ৩ জানুয়ারি সকল হাসপাতাল ও হেলথ অফিসগুলোকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এতে হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি কোভিড সংক্রমন ও ফ্লু বেড়ে যাওয়ায় ডিপার্টমেন্ট এ নির্দেশনা দেয়।