ইকুয়েডরে টিভি লাইভ অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:৪৭ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার
আজকাল ডেস্ক
ইকুয়েডরের একটি সরকারি টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান চলছিল। আচমকাই হুডি মাথায় হাতে বন্দুক, ডিনামাইট, গ্রেনেড নিয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ল কয়েক জন। সঙ্গে সঙ্গে চ্যানেল উড়িয়ে দেওয়ার, খুন করার হুমকি। এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। অ্যাঙ্করসহ অতিথিদের মেঝেতে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হয়। এর পরেই চ্যানেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দক্ষিণ আমেরিকার ছোট দেশ ইকুয়েডরে এখন এমনই ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
গত সোমবার থেকে ল্যাটিন আমেরিকার ওই দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। আপাতত তার মেয়াদ ৬০ দিন। সে দেশের কুখ্যাত অপরাধী জেল ভেঙে পালানোর পরেই প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তার পরেই ঘটে গেল এই ঘটনা। এর পাশাপাশি একাধিক পুলিশকর্তাকে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। পর পর বিস্ফোরণের আওয়াজও শোনা যাচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, টিভি চ্যানেলে হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। পুলিশ ১৩ জন দুষ্কৃতকারীকেই গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে টিভি চ্যানেলে হামলা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সরকারি টেলিভিশন টিসিতে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় কালো হুডি পরিহিত সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গুয়াইয়াক্যুইল শহরের এই টিভি স্টুডিয়োতে ঢুকে পড়ে। চ্যানেলটিকে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সেই সময় চ্যানেলের লাইভ সম্প্রচার চলছিল। এখানে বেশ কিছু গুলির আওয়াজও পাওয়া যায়। কিন্তু স্টুডিওর ভেতরে গুলি চলেছে কি না তা জানা যায়নি।
গত বছর নভেম্বরে ক্ষমতায় আসেন নোবোয়া। ক্ষমতায় এসেই তিনি দেশে মাদক ব্যবসা এবং সেই সম্পর্কিত সহিংস ঘটনা চিরতরে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। মনে করা হচ্ছে, সে দেশের কুখ্যাত মাদক কারবারী ‘গ্যাং’ লোস চোনেরোসের প্রধান আডোলফো মাসিয়াসের জেলে থেকে পালানোর ঘটনার পরেই তিনি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।