মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল : পুতিন

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:৫৯ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডাকযোগে আসা যেসব ভোট (পোস্টাল ভোট) গণনা হয়েছিল, সবগুলোই ছিল নগদ অর্থে কেনা।

মঙ্গলবার এক বার্তায় পুতিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ (প্রেসিডেন্ট) নির্বাচনে ডাকযোগে আসা ভোটগুলোতে কারচুপি হয়েছিল। তারা (ডেমোক্রেটিক পার্টি) প্রতিটি ব্যালট ১০ ডলারে কিনে তা নিজেরা পূর্ণ করে মেইলবক্সে জমা করেছিল এবং বিভিন্ন কৌশরে এই ব্যাপারটিকে তারা পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টির আড়ালে রাখতে সফল হয়েছিল। এটাই সত্য।’

প্রসঙ্গত, ওই নির্বাচনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে নতুন প্রেসিডেন্ট হন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জো বাইডেন এবং ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর পরই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেন।

ট্রাম্প অবশ্য কেবল অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হননি। নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি আদালতে মামলাও করেছিলেন। কিন্তু সেসব মামলার একটি রায়ও তার পক্ষে যায়নি।

উপরন্তু ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলের অধিবেশনে উগ্র সমর্থকদের হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকে দায়ী করে মামলা হয়েছে দেশটির একাধিক অঙ্গরাজ্যে। সেসব মামলার কার্যক্রম এখনও চলছে। মামলাগুলোর অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ওই হামলার উসকানি দিয়েছিলেন।

তাছাড়া কর ফাঁকি এবং অন্যান্য অভিযোগেও একাধিক মামলা চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা ট্রাম্প। সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ডেমোক্রেটিক পার্টি অভিযোগ তোলে, রাশিয়ার সহায়তায় গোপনে ভোট কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে জিতেছিলেন ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। মস্কোও সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিল— এ ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে রাশিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

চলতি ২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষে প্রার্থী হবেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং এখন পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচনে বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন ট্রাম্প।

তবে মঙ্গলবারের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে কৌশলে পুতিন জানিয়ে দিলেন, আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করবে মস্কো।