মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হামাস এখনও পরাজিত হয়নি, বলছে ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৫৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে চলা এই অভিযানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও হয়ে উঠেছে বেশ জোরালো। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস এখনও পরাজিত হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস এখনও পরাজিত হয়নি বলে বুধবার জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি।

ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরনোথের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেসেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক ও প্রতিরক্ষা কমিটিকে হানেগবি বলেন, ‘হামাসের পরের দিন (কী হবে) সে সম্পর্কে কথা বলা- সময় হিসেবে এখনও খুব তাড়াতাড়ি, কারণ গোষ্ঠীটি এখনও পরাজিত হয়নি।’

গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা পৌঁছেছে কমপক্ষে ২৪ হাজার ৪৪৮ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬১ হাজার ৫০৪ জন।

ইসরায়েলের এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে ভয়াবহ সংঘর্ষের মধ্যে কমপক্ষে ৫২৯ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। নেতানিয়াহু অবশ্য আগেই বলেছেন, হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত এবং বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি গাজা যুদ্ধ বন্ধ করবেন না।

যদিও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে গাজার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যর্থতার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। এছাড়া হামাস গাজা উপত্যকায় প্রায় ১৩৬ জন ইসরায়েলি বন্দিকে আটক রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।