বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্কে ‘সাংবাদিকের স্বাধীনতা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:২৯ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৪ রোববার

বাংলাদেশি-আমেরিকান সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের (বাসা) উদ্যোগে ‘সাংবাদিকের স্বাধীনতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে কোম্পানীগঞ্জ সমিতি ভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি শহীদ উল্লাহ কাইছারের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক সাইয়েদ আজাদের পরিচালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বেলাল মসজিদের ইমাম ও খতিব ড. মুফতি আনসারুল করীম।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বাধীনতা। প্রকৃত অর্থে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হলো সংবাদমাধ্যম বা প্রেসের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের সঙ্গে স্বাধীনতার প্রশ্নটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুক্তবুদ্ধি ও বাক স্বাধীনতার অন্যতম বাহন হলো- গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র, রেডিও এবং টেলিভিশন প্রভৃতি।

তারা বলেন, আর এই গণমাধ্যম সমূহের মধ্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্র রক্ষার অন্যতম ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। স্বাধীনতা একটি বিমূর্ত ধারণা। বিমূর্ত ধারণার সবচেয়ে বড় গুণ হলো- একে যে যেমনভাবে ব্যবহার করতে চায়, ঠিক তেমনভাবে ব্যবহার করতে পারে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পাঠকের মনের বা চিন্তার স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা এবং প্রকাশের স্বাধীনতা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় চিন্তার স্বাধীনতা স্বাতন্ত্র্যবোধ ও অধিকারের দ্যোতক। যে সমাজে এই স্বাতন্ত্র্যবোধ ও অধিকার যত অধিক পরিমাণে প্রতিষ্ঠিত, সে সমাজ তত বেশি সুস্থ ও স্থিতিশীল।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, গণকণ্ঠ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি আম্বিয়া বেগম অন্তরা, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক কাজী নয়ন।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক কমিউনিটির প্রবীণ নেতা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা আজহারুল হক মিলন, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি, কমিউনিটির অ্যাক্টিভিস্ট কাজী আযম, সন্ধীপ সোসাইটির সভাপতি ফিরোজ আহাম্মেদ, লেখক আলী ইমাম শিকদার।