স্বাধীন ফিলিস্তিন ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয় রূপরেখা প্রয়োজন। খবর সিএনএনের।
প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, আমরা এর মাধ্যমে কেবল সুবিধা পেতে পারি। তাই যেহেতু আমাদের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন এবং তা আসতে পারে ফিলিস্তিন ইস্যুত সমাধানের মাধ্যমে।
অক্টোবরে ইরান-সমর্থিত হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরাইলে আক্রমণের আগে ইসরাইল ও সৌদি আরবের নেতারা দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তারা বলেছিলেন, ধীরে ধীরে একটি কূটনৈতিক বাস্তবতা প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন আকার দিতে পারে।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় ইসরাইল বোমাবর্ষণ ও হামলা শুরু করলে মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগের আলোচনা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় সৌদি আরব।
গত কিছুদিন ধরে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধের অবসান হলে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী সৌদি আরব। আর সৌদি কর্মকর্তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অস্বীকৃতি না জানালেও বলছেন, এমন কিছুর জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ থাকতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে সফর করেন।
ইসরাইলে অবস্থানকালে তিনি বলেছিলেন যে, ইসরাইলের প্রধান মুসলিম প্রতিবেশী দেশগুলো গাজাকে যুদ্ধের পর পুনর্বাসনে এবং ইসরাইলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহায়তা চালিয়ে যাবে যদি শেষ পর্যন্ত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি আসে।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, আলাদা নিরাপত্তার জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা জরুরি। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছেন।
নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ফোনে কথা বলার পর বাইডেন বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান এখনো সম্ভব। অনেক ধরনের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান রয়েছে। অনেক দেশ আছে যারা জাতিসংঘের সদস্য না। তাদের নিজস্ব সামরিক বাহিনী নেই।