বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুুদের হার কমায় ক্রয় বেড়েছে

নিউইয়র্কে হাউজিং ব্যবসা চাঙ্গা

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:০৩ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার


   
 
মর্টগেজ রেট কমতে থাকায় বাড়ি কেনায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন বাংলাদেশিরা। চাঙ্গা হয়ে উঠছে হাউজিং মার্কেট। রিয়েল স্টেট এজেন্টরাও ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। আগামী সামারে হাউজিং মার্কেট জমজমাট হয়ে উঠবে বলে ধারণা করছেন রিয়েল স্টেট এজেন্ট ও মর্টগেজ কোম্পানীগুলো।
গত বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ৩০ বছরের ফিক্সড মর্টগেজ লোনের সুদের হার ছিল শতকরা ৮ এর উপরে। গত বুধবার ৩১ জানুয়ারি তা নেমে এসেছে ৬.৮৩ ভাগে। মর্টগেজ বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, জুন-জুলাই নাগাদ সুদের হার ৫.৫-এ নেমে আসতে পারে। ফেডারেল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ছিল ৩১ জানুয়ারিতেই। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামীতে প্রয়োজনে সুদের হার এডজাস্টমেন্টের আভাসও দেয়া হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, হাউজিং মার্কেট সতেজ হলে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়াবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমালে স্টক মার্কেটও প্রাণ ফিরে পাবে। গত এক বছরে স্টক মার্কেটে ধসের কারণে লাখ লাখ আমেরিকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই সুদের হার কমিয়ে হাউজিং ও স্টক মার্কেটে গতি আনার চেষ্টা করবেন ডেমোক্র্যাটরা।
বাংলাদেশি রিয়েল এস্টেট এজেন্ট পার্কচেস্টার ব্রংকস রিয়েলিটির কর্তধার সালেহউদ্দিন আজকালকে বলেন, সুদের হারের ওপর হাউজিং মার্কেট নির্ভর করে। এই মার্কেট মুভ করলে ইকোনমিও সচল হয়। নইলে অর্থ অলস হিসেবে পড়ে থাকে। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা সুদের হার কমানোর জন্য চেষ্টা করছেন। আশা করা হচ্ছে জুন বা জুলাই নাগাদ হাউজিং মার্কেটে গতি আসবে। বাংলাদেশি বাড়ি ক্রেতাদের প্রসঙ্গে জনাব সালেহউদ্দিন বলেন, ভালো খবর হচ্ছে অনেক বাংলাদেশির হাতে নগদ অর্থ রয়েছে। তারা সুদ বাড়া বা কমার তোয়াক্কা করছেন না। দামে মিলে গেলে নগদে কিনে ফেলছেন। গত সপ্তাহে পার্কচেস্টারে একটি এপার্টমেন্ট বিক্রয়ের জন্য ওপেন হাউজ ছিল। ৮ জন বাংলাদেশি আগ্রহী ক্রেতার মধ্যে ৭ জনই নগদে এপার্টমেন্ট কিনবেন বলে জানিয়েছিলেন। অবশ্য বড় বাড়ি কেনার চিত্রটি ভিন্ন। সেখানে ব্যাংক লোনের বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকে।
সেঞ্চুরী ২১ ফিউচার হোমের রিয়েল স্টেট এজেন্ট নজরুল ইসলাম বলেন, ব্রোকারদের মতে, এ বছরই মর্টগেজ সুদের হার ৫.৫ এ নেমে আসতে পারে। অথচ চার মাস আগেই তা ছিল ৮ থেকে ৯ শতাংশ। ইতোমধ্যেই সুদের হার কমে ৭ শতাংশে নেমেছে। সুদের হার অত্যাধিক হওয়ায় অনেক বাংলাদেশি ইচ্ছে থাকলেও বাড়ি কেনার আগ্রহ দেখাননি। তারা এখন কল করতে শুরু করেছেন। খোঁজ খবর নিচ্ছেন বাড়ি কেনা-বেচার।