রাফায় রাতভর হামলায় নিহত ২৮
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৭:৩৪ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে রাতভর হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় প্রতিদিনই রাফা শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলায় তিনটি পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ জনই শিশু এবং নিহতদের মধ্যে তিন মাস বয়সী এক শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে লোকজনকে রাফায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের ওপরই এখন হামলা চালানো হচ্ছে। অসহায় এই ফিলিস্তিনিরা জানে না যে, তারা এখন কোথায় আশ্রয় নেবে। গাজার কোনো শহরই এখন আর তাদের জন্য নিরাপদ নয়। সর্বত্রই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সম্প্রতি খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সেখানে অবস্থিত নাসের হাসপাতালে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হচ্ছে। এতে একজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজাজুড়ে হামাসের সঙ্গে তীব্র যুদ্ধ চলছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের কাছ থেকে রকেট চালিত গ্রেনেড, অ্যাসল্ট রাইফেলসহ সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রাফায় অবস্থান করা লাখ লাখ ফিলিস্তিনি চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি। তাদের যাওয়ার জন্য কোনো নিরাপদ স্থান নেই। সবচেয়ে বেশি লড়াই হচ্ছে দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর গাজায়। এসব এলাকায় অব্যাহত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ২৭ হাজার ৯৪৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৭ হাজার ৪৫৯ জন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। চার মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের সঙ্গে লড়াইকালে মধ্যগাজায় বেশকিছু হামাস যোদ্ধা নিহত ও আটক হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসেও বেশ কিছু হামাসের সাইটে অভিযান চালানো হয়েছে।
সামরিক বাহিনীকে রাফাহ থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া এবং হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এদিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত প্রশ্ন করেছেন যে, পরিকল্পিত হামলার মধ্যে বেসামরিকদের কোথায় সরিয়ে নেওয়া হবে?