বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্কজুড়ে প্রবাসীদের মহান একুশে পালন

আজকাল রিপোর্ট

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৫৯ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি


ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটি পালন করেছে অমর একুশে, মহান শহীদ দিবস।  মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বুকের রক্ত ঝরিয়ে জাতির স্বাধীনতার পথ সুগম করেছিলেন যারা সেইসব শহীদদের স্মরণে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হলো শোকের দিন একুশে ফেব্রুয়ারি।
অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও দিনটি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনগুলি।  
তাদের কর্মসূচীর মধ্য ছিল দিবসের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ,  ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ,আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।  
একুশে পালনের বিস্তারিত খবর নিচে দেয়া হলো।

জাতিসংঘ সদর দপ্তর:
২১ ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে টানা ৮ম বারের মত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করা হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশ, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বলিভিয়া রোমানিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্থায়ী মিশনসমূহ, জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও ইউনেস্কো-এর সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে এই  অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদেও সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস।
 
 
 
এই বছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানটিতে বহু ভাষার ব্যবহারে সমৃদ্ধ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি, বাহরাইন, বলিভিয়া, রোমানিয়া, দক্ষিণআফ্রিকা, অস্ট্রিয়া, ভারত, হাঙ্গেরি, পাপুয়া নিউগিনি এবং তানজানিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূতগণ, জাতিসংঘ ও ইউনেস্কো-এর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের একজন প্রতিনিধি ‘বহু ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা; প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞান চর্চার স্তম্ভ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার পাশাপাশি বাংলা, হিন্দি ও রোমানিয়ান ভাষায় দেয়া বক্তব্য ভাষান্তর করা হয়।  সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় উদ্বোধনী সঙ্গীত “আমার ভাই এর রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি”, জাতিসংঘ চেম্বার মিউজিক সোসাইটি কর্তৃক পরিবেশিত যন্ত্রসংগীত এবং অভিবাসীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দের পরিবেশিত গান অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে শুরু হয় বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রাম, যার চূড়ান্ত পরিণতি পায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদেও বিজয়ের মাধ্যমে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও অন্যান্য বক্তাগণ জাতিসংঘ সদও দপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব স্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। মাতৃভাষার জন্য বিশেষ একটি দিন নির্ধারণে অগ্রণীভূমিকা পালনের জন্য তাঁরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষায় শিক্ষা প্রদানকে জ্ঞানার্জন ও মেধা বিকাশের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করে, তাঁরা এর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনার পর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়।

বাঙালি চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারা:
নিউইয়র্কস্থ মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চের পক্ষ থেকে এবারও বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে ২০ ফেব্রয়ারি দুপুর ১.০১ মিনিটে (বাংলাদেশের সময় রাত ১২.০১ মিনিট) জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে দ্যাগ হ্যামারসজোল্ড পার্কে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ,শ্রদ্ধা নিবেদন ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির আয়োজন করে।
 
 
 
শহিদ বেদীতে সর্ব কনিষ্ঠ শিশু প্রতীক,ভাষা, জয়(প্রিন্স) ও পায়েল ভাষা শহিদদের প্রতি পুষ্পার্ঘ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিনটি উদযাপন করা হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, কন্সাল জেনারেল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গমাতা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ), যুক্তরাষ্ট্র শাখা, জগন্নাথ হল এলামনাই এসোসিয়েশন, গাইবান্ধা সোসাইটি অব আমেরিকা, প্রবাসী মতলব সমিতি সহ বিভিন্ন সামাজিক ও আন্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানটি সমবেত কন্ঠে পরিবেশন করা হয়।
শোক অনুষ্ঠানে মুক্তধারার কর্তধার বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ১৯৫২-এর ভাষা শহিদদের পবিত্র রক্তস্রোতের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের গৌরবগাথা। শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের প্রতিটি জাতির মাতৃভাষার মর্যাদা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মানুষের মতো বাঁচার দাবির সংগ্রামের দুর্জয় অনুপ্রেরণা সৃষ্টির চীর অনির্বাণ শিখার দীপ্তিতে দিগন্ত উদ্ভাসিত করেছে একুশে ফেব্রুয়ারি।


বাংলাদেশ কনস্যুলেট, নিউইয়র্ক:
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার কনস্যুলেট ভবনে এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরী’র সহযোগিতায় কুইন্স সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪’ উদযাপন করে।
   
 
  নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেটর ও এ্যাসেম্বলী মেম্বার,বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও বিদেশী কুটনীতিকগণ অংশগ্রহণ করেন। এসময় বিদেশী অতিথিদের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, নতুন প্রজন্ম ও কমিউনিটি সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক দেশী-বিদেশী অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্বে কনস্যুলেটে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামান্য চিত্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অমর একুশের কালজয়ী গানের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
দ্বিতীয় পর্বে কুইন্স সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, জ্যামাইকা’তে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ৫২’র সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি ও ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে।
বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট ডেনিস এম ওয়ালকট এবং ভারত, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, পেরু ও থাইল্যান্ডের কনসাল জেনারেলসহ অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড কনস্যুলেটের কূটনীতিকবৃন্দ।
বাংলাদেশ ও ভারতীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সোসাইটি:
বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস  প্রায় ৪০টি সংগঠন নিয়ে পালন করা হয় উডসাইডের তিব্বতী কমিউনিটি সেন্টারে। অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল ৫টা থেকে। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাত ১২টা ১ মিনিটে শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ।
 
 
 
 
 
 
 
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রায় ২০টি সংগঠনের সদস্য নৃত্য,সঙ্গীত,আবৃত্তি,একাংকিকা নাটকসহ অন্যান বিষয়ে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী।  
শহীদ দিবসটি সফল করার জন্য ফারুক চৌধুরীকে আহবায়ক,নওশেদ হোসেনকে প্রধান সমন্বয়কারি ও মাইনুল উদ্দীন মাহবুবকে সদস্য সচিব করে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সম্মিলিত একুশের অনুষ্ঠান গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়। শতাধিক সংগঠন এতে অংশ নেয়। বিভিন্ন বিষয়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
 
 
 
 
 
 অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নতুন প্রজন্মের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং রাত ১২টা ১ মিনিটে শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ। অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৫টায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশনায় রয়েছে প্রায় ৮টির মতো সংগঠন।

বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস:
প্রতি বছরের মতো  ২১ ফেব্রুয়ারী বুধবার বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস পালন করেছে।
 
 
 
সকাল সাড়ে নটায় বাফার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় প্রভাত ফেরী। ডেসিস রাইজিং আপ এ্যান্ড মুভিং (ড্রাম), স্বপ্ন এনওয়াইসি, উদিচী যুক্তরাষ্ট্র,  ব্রঙ্কস বাংলাদেশ ওমেন্স এসোসিয়েশন, ব্রঙ্কস মিউজিক এন্ড হ্যারিটেজ সেন্টার, হদয়ে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং প্রবাসীরা প্রভাত ফেরীতে অংশগ্রহন করেন। এরপর বাফার অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
প্রভাত ফেরীর আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কংগ্রেসওমেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও করটেজ, কাউন্সিলওম্যান আমান্ডা ফারিয়াস, সিনেটর নাতালিয়া ফার্নান্দেজ, এসেম্বলিওমেন কারিনা রাইস, এসেম্বলিম্যান এ্যাডি গিবস, দিয়া বাসু সেন এবং বাফা কর্তধর ফরিদা ইয়াসমিন।
 
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাঙালির ভাষা-চেতনা দ্বারা সারা বিশ্ব আজ মায়ের ভাষা রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নতুন প্রজন্মের মাঝে মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশকে আরো বেগবান করার আহবান জানান তাঁরা। এর আগে বাফা প্রাঙ্গণে নাচ, গান কবিতা আসর বসে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে দিবসটি পালিন করছে বাফা।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন:
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠন মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে। তাদের কর্মসূচীতে আছে অস্থায়ী শহিদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নিউইয়র্ক মহানগর ব্রঙ্কস বরো পূর্ব-পশ্চিম এর উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
  ব্রঙ্কস বাংলাদেশ কমিউনিটি উদ্যোগে আল আকসা পার্টি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নিউইয়র্ক মহানগর ব্রঙ্কস বরো ‘পশ্চিম’ এর আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ারুল আলম ভূঞার নেতৃত্বে ব্রঙ্কস বরো ‘পূর্ব-পশ্চিম’ এর নেতা-কর্মীরা অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
 
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন:
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের (সভাপতি শাহীন কামালী এবং সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন) একুশে পালন করা হয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এস্টোরিয়াস্থ জালালাবাদে অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ভবনে। অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং অস্থায়ী শহিদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পমাল্য অর্পণ।
 
 
ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংকৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি শাহীন কামালীর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মঈনুল ইসলাম এর পরিচালনায় সংগঠনের সম্মিলিত একুশ উদযাপন কমিটির আহবায়ক এবং কার্য নির্বাহী কমিটির  সহ সভাপতি শেখ জামাল হোসেইন ও সদস্য সচিব কমিটির প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক সাহিদুল হক রাসেল এর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন,
সৈয়দ ফজলুর রহমান,আতাউল গনি আসাদ, আব্দুল এম চৌধুরী উমেল,  দেওয়ান মনজু, মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, হেলিম  উদ্দিন, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ম.  আমিনুল হক চুন্নু,  ফারুক আহমেদ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে শিশুকিশোরদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন তাজ- প্রমী এবং তরুণ শিল্পী অপু রহমান।
একুশের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখা, জাসদ যুক্তরাষ্ট্র শাখা, জেবিবিএ, ইউএসএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, বিপা, বাফা, বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন, বাপা, অনুপদাস ড্যান্স একাডেমি, বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি, বাংলাদেশ ল’ এসোসিয়েশন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি, রবীন্দ্র একাডেমি, নীলা ড্যান্স একাডেমি, কুমিল্লা সোসাইটি, বঙ্গমাতা পরিষদ, মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর এসোসিয়েশন, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,জাতিয়তাবাদী ছাত্র দল, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সোসাইটি, গ্রীণটাচ, বরিশাল বিভাগীয় সোসাইটি প্রভৃতি সংগঠন।