মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইলিয়াস গ্রেফতার ও জামিনে মুক্ত

আজকাল রিপোর্ট

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:০২ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার


 

নিউইয়র্কে সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেন গ্রেফতারের পর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। রোববার ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেফতার হন। নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি জ্যাকব মিল্টন ও নীরা রব্বানীর দায়েরকৃত মামলায় তিনি আসামী। জ্যাকব মিল্টন মানহানি ও ক্রিমিনাল কেসসহ একাধিক মামলা করেছেন ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে মিল্টনের বাসায় বোমা নিক্ষেপের হুমকি সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে। ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে তিনি কুইন্সের ১১৩ প্রিসিংক্টে গিয়ে আত্মসমর্পন করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির করে। আদালত ঐদিনই তাকে জামিন মঞ্জুর করে।
ইলিয়াস হোসেন বাংলাদেশে একুশে টেলিভেশনে কাজ করতেন। প্রবাসে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। ইউটিউবে প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার নিয়ে বক্তব্য দিতে থাকেন। উল্লেখ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ইলিয়াসের অনুসারী মিলিয়নের ওপর। বাংলাদেশে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও তাদের সর্মথকরা কয়েকবার তার ওপর হামলার চেষ্টা করে। তার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার আওয়ামী লীগ নেতারা। ইলিয়াসকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাস্তবে তা কাজে লাগেনি।
শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী একটিভিস্ট হিসেবে জ্যাকব মিল্টনও কমিউনিটিতে পরিচিত। সোশাল মিডিয়ায় দেওয়া বক্তব্যগুলোতে তার প্রমাণ মেলে। তার দায়েরকৃত মামলায় আসামী হয়েছেন সরকার বিরোধী আরেক একটিভিস্ট ইলিয়াস।
জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ইলিয়াস হোসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়নি। দুই একটি পত্রিকা আমাকে হেয় করার জন্য অসত্য খবর পরিবেশন করেছে। আমি নিজ থেকে থানায় গিয়েছিলাম। পরদিন কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, আমি কোন অন্যায় করিনি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় যা বলি তা প্রমাণসহ বলে থাকি। একটি মহল আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে। বলে রাখছি, সত্য বলা থেকে আমি ইলিয়াস কখনোই পিছপা হবো না।