সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গ্রাহকের অজান্তে ১৯ লাখ ডলার তুলে নিলেন ব্যাংক ম্যানেজার

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৭:৩৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

এক ভারতীয় নারী অভিযোগ করেছেন, দেশটির সবচেয়ে বড় ব্যাংক আইসিআইসিআইয়ের এক ব্রাঞ্চ ম্যানেজার তার ১৯ লাখ ডলার (১৬ কোটি রুপি) আত্মসাৎ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং হংকংয়ে বসবাস কর সেভতা শর্মা নামের এই নারী বলেছেন, তিনি তার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য এই অর্থগুলো ট্রান্সফার করেছিলেন।

কিন্তু তিনি দাবি করেছেন, তার এসব অর্থ আত্মসাৎ করতে ব্যাংক ম্যানেজার “নকল অ্যাকাউন্ট, সই জাল এবং তার নামে ইস্যু করা ডেভিট কার্ড এবং চেক জালিয়াতি করেছেন।”

তিনি বলেছেন, “সে আমাকে ভুয়া স্টেটমেন্ট দিয়েছে, আমার নামে নকল ইমেইল আইডি তৈরি করেছে এবং ব্যাংক রেকর্ডে আমার মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করেছে যেন আমি অর্থ উত্তোলনের কোনো তথ্যই জানতে না পারি।”

ওই ব্যাংকের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে স্বীকার করেছেন, এই নারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং যিনি এর সঙ্গে জড়িত তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

সেভতা শর্মা ও তার স্বামী ২০১৬ সালে ভারতে ফিরে আসেন। এর আগে এক যুগ তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং হংকংয়ে কাটান। তখন বন্ধুর মাধ্যমে এক ব্যাংকারের সাথে তাদের পরিচয় হয়।

তখন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার খুবই নগন্য ছিল। ফলে ওই ব্যাংকার তাকে পরামর্শ দেন তার অর্থগুলো ভারতে ট্রান্সফার করে নিয়ে আসতে। কারণ ভারতে তিনি ফিক্সড ডিপোজিট করলে ভালো অর্থ পাবেন।

এরপর তিনি ‘অস্থায়ী ভারতীয়’ হিসেবে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ২০১৯ সাল থেকে নিজের সব অর্থ ট্রান্সফার করা শুরু করেন।

সেভতা শর্মা বলেছেন, “২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল, এই চার বছরে আমরা আমাদের জীবনের সব সঞ্চয় ভারতে ট্রান্সফার করেছি। যার পরিমাণ হলো ১৩ কোটি রুপি। আর সুদসহ এটি ১৬ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে।”

তবে তিনি কখনো কোনো সন্দেহ করেননি কারণ ব্যাংক ম্যানেজার তাকে নিয়মিত রিসিপ্ট দিতেন ব্যাংকের ইমেইল থেকেই।

কিন্তু এ বছরের জানুয়ারিতে তিনি জানতে পারেন, ব্যাংক ম্যানেজারের প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন তিনি। ওই সময় ব্যাংকের এক নতুন কর্মকর্তা তাকে আরও ভালো সুদ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।

এরপর তিনি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে নিজের অর্থ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।