বাংলাদেশ সোসাইটির একাউন্ট আবু জানলো কিভাবে?
আজকাল রিপোর্ট
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:০৫ এএম, ২ মার্চ ২০২৪ শনিবার
চেক জালিয়াতির ঘটনায় কমিউনিটিতে নানা প্রশ্ন
বাংলাদেশ সোসাইটির চেক জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটি এখন সরব। উধাও হয়ে যাওয়া জালিয়াত লোকটির হদিস পেয়েছে পুলিশ। তার ছবিও প্রকাশ করেছে, তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তার ছবি দিয়ে পোস্টার করেছে। ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ হাজার ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছে।
পুলিশের এই সাফল্য কমিউনিটিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। পাঁচ মাস আগের এই ঘটনা নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন উঠছে। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর কে একজন অজানা-অপরিচিত ব্যক্তি বাংলাদেশ সোসাইটির চেক জাল করে এস্টোরিয়ায় টিডি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ডলার তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। অল্প-স্বল্প অর্থ নয়, একেবারে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ডলার। ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বতায় তার সে প্রয়াস ব্যর্থ হয়। পত্রপত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবরে বলা হয়েছিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর সোসাইটি নেতৃবৃন্দের দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে সংগঠনের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রক্ষা পায়।
জালিয়াত লোকটা এই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলতে পারেনি। কিন্তু লোকটা উধাও হয়ে গেল কেমন করে? এত বড় একজন জালিয়াতকে তখনই আটকানো গেল না কেন? জানা গেল না কেন তার নামধাম-পরিচয়। দারুণ প্রশংসনীয় কাজ করেছে পুলিশ। পাঁচটি মাস ধরে এই ঘটনার পেছনে নিষ্ঠার সাথে লেগে থেকে অবশেষে খুঁজে বের করেছে জালিয়াত লোকটার পরিচয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ঘেঁটে বের করেছে তার ছবি। লোকটার নাম মামুন আবু।
প্রশ্ন উঠেছে কে এই মামুন আবু? তার সাথে বাংলাদেশে সোসাইটির সম্পর্ক কি? সে কি করে সোসাইটির চেক জাল করল? এ সুযোগ সে পেল কেমন করে? সে কি কোন না কোনভাবে সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত? চেক জাল করতে তো প্রয়োজন হয় মূল চেকের পাতা। কেমন করে তার হস্তগত হলো সোসাইটির চেক কিংবা চেকের কোন পাতা, যা সে ব্যবহার করেছে জালিয়াতির কাজে?
আরো বিস্ময়ের কথা, মামুন আবু নামের এই লোকটা চেকে ডলারের অংকটি লিখেছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার। বিপুল পরিমাণের ডলার। প্রশ্ন উঠেছে, এই পরিমাণ ডলার সোসাইটির একাউন্টে জমা রয়েছে এ খবর সে জানল কেমন করে? কোন ভরসায় সে চেকে এত বড় অংকের ডলার লেখার সাহস পেল? সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে না যে, ব্যাংক একাউন্টে বাংলাদেশ সোসাইটির কত ডলার জমা আছে এটা জেনেশুনেই মামুন আবু নিশ্চিতভাবেই চেকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ডলারের অংকটি লিখেছিল। অর্থাৎ ধারণা করা যায়, সোসাইটির একাউন্টে লেনদেন, জমা-খরচ সম্পর্কে মামুন আবু সম্যক ওয়াকেবহাল।
কমিউনিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করছেন বিষয়টি নিয়ে পুলিশ যখন তদন্তে নেমেছে তখন এই সব প্রশ্নেরও জবাব হওয়া বাঞ্ছনীয়।