খামেনির নির্দেশে হবে পাল্টা হামলা, ধোঁয়াশায় ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১৩ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার
সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেট ভবনে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরাইলি স্বার্থ বা অবস্থানে প্রতিশোধমূলক হামলা অনিবার্য, তেহরানের এমন হুঁশিয়ারির পর আশঙ্কায় দিন গুনছে দখলদার ইসরাইল ও তার সব অপকর্মের সঙ্গী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এই কুখ্যাত মানিকজোড়। তবে ইরান কখন এবং কীভাবে এ হামলা চালাবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
সবশেষ লেবাননভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ'র মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, তেহরানের প্রতিশোধমূলক হামলা অনিবার্য। কখন, কোথায় ও কত তীব্র বা ব্যাপক মাত্রায় ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা চলানো হবে তা নির্ধারণ করবেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি ও অন্যান্য ইরানি নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। এ সপ্তাহে একটি আক্রমণ আসতে পারে।
ইরানের হুমকির পরও যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে রয়েছে জানিয়ে বাইডেন প্রশাসনের আরেক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং ইসরাইলের যোগাযোগ রাখছি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গেলো বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে ইরানের হুমকি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
৬০ লাখ ডলারের ইসরাইলি ড্রোন ফেলে দিলো হিজবুল্লাহ৬০ লাখ ডলারের ইসরাইলি ড্রোন ফেলে দিলো হিজবুল্লাহ
এর আগে গেলো সোমবার বিকেলে ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনসুলেট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে আইআরজিসি’র বেশ কয়েকজন সামরিক উপদেষ্টাসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানি কনসুলেটে কর্মরত সামরিক উপদেষ্টারা কূটনৈতিক দায়মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও ইসরাইল সেই আইন অগ্রাহ্য করে অত্যন্ত কাপুরুষোচিতভাবে হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইরান এখন এই হামলার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে এবং জাতিসংঘ সনদ অনুসারে জবাব দেয়ার অধিকার রাখে।
কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষে গাজায় আরও ১৪ ইসরাইলি সেনা নিহতকয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষে গাজায় আরও ১৪ ইসরাইলি সেনা নিহত
তেহরান ওই হামলার প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেয়ার পরপরই ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাদের কমব্যাট ইউনিটের ছুটি বাতিল করেছে। পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে ইসরাইলের বিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এমনকি তলব করা হয়েছে রিজার্ভ সেনাদের।
এছাড়াও হামলার ভয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি দূতাবাসগুলো খালি করতে শুরু করেছে ইসরাইল। এরইমধ্যে কমপক্ষে ২৮টি দূতাবাস বা কনস্যুলেট অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ। আর এ গনহত্যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে দ্বন্দ্ব জড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরশত্রু ইরান-ইসরাইল।