অর্ধশতাব্দি পর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:০৮ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, দেখা গেছে যথাক্রমে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে। এ ধরনের বিরল আরেকটি ঘটনা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাত ১১টা ৭ মিনিটে গ্রহণ শুরু, চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলতে থাকে সূর্যকে। পৃথিবীর উপগ্রহটি এক ঘণ্টার মাথায় সূর্যকে পুরোপুরি আড়াল করে দেয়। নাসা জানিয়েছে, পূর্ণগ্রাস ছিলো ৪ মিনিট স্থায়ী। সে সময় কালো রাতের আঁধারে ঢেকে যায় উত্তর আমেরিকা।
নাসার সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, এরপর ধীরে ধীরে প্রকাশ হতে থাকে সূর্য, গ্রহণ এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কানাডার দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ১০ মিনিটে গ্রহণ শেষ হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেষ বার সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট। সাত বছর পর আবার সেখানে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হলো। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা সূর্যগ্রহণ দেখানোর একাধিক আয়োজন করে।
সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা গেছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে। লাখ লাখ মানুষের জমায়েতের কারণে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। ভালো দেখা গেছে মেক্সিকোর মাজাটলান, টরিওন, টেক্সসাসের সান অ্যানটোনিও, অস্টিন, অকো, ফর্ট ওর্থ এবং ডালাস, আরকানসাসের লিটল রকি, মিসৌরির এটি লুইস, কেন্টাকির লুইসভিলে, ইন্ডিয়ানার ইন্ডিয়ানাপোলিস, কলম্বাবাসের ডেটন, ওহিও’র টোলেডো এবং কেলিল্যান্ড, মিশিগানের ডেট্রয়েট, পেনসিলভানিয়ার ইরি, নিউ ইয়র্কের বাফেলো, রোসেস্টার এবং সিরাকাস এবং কানাডার হেমিলটন, টরেন্টো ও মন্ট্রিয়াল থেকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত ৫০ বছরে এত দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়নি। তাই সোমবারের গ্রহণকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলাদা উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। কোটি কোটি মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে বিশেষ চশমা পড়ে সূর্যগ্রহণ দেখেছে।
নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে গ্রহণ দেখার জন্য বিশেষ গবেষণামূলক বিমান পাঠানো হয়েছিলো আকাশে। নাসার ডব্লিউবি-৫৭ উচ্চ উচ্চতাসম্পন্ন গবেষণা বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০ হাজার ফুট উপরে ছিলো। ওই বিমান থেকে গ্রহণ চলাকালীন সূর্যের করোনা স্তর পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা।
সূর্য এবং পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে যখন এক সরলরেখায় চলে আসে এবং তাদের মাঝখানে ওই একই সরলরেখায় যখন ঢুকে পড়ে চাঁদ, তখন সূর্যগ্রহণ হয়। চাঁদের ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে সেই অবস্থাকে বলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। সোমবারের গ্রহণের বিশেষত্ব ছিলো এর স্থায়িত্ব, দু’ঘণ্টার ৪ মিনিট।