নিউইয়র্কে সেন্টার ফর এনআরবি’র সেমিনার
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার
সেন্টার ফর এনআরবি’র ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০২৪’ এর আওতায় ৮ এপ্রিল নিউইয়র্কে জয়া পার্টি হলে ‘বিশ্ব শান্তির জন্যে জাতিসংঘের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠি এবং জাতিসংঘের পদস্থ কর্মকর্তারা অভিযোগ উত্থাপনের পর মানবতার প্রশ্নের যথাযথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার স্বার্থে জাতিসংঘকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কলা উল্লেখ করেছেন।
এসময় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা বলেন, রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, করণীয় ঠিক করে দিতে হবে, তবেই না আমরা কূটনীতিকরা দায়িত্ব পালন করতে পারবো। জাতিসংঘ তার সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয় সুতরাং সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্যে যেমন ভালো, তেমনি মন্দ। কারণ, তার নিজস্ব কোন শক্তি নেই। সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ইচ্ছায় তা পরিচালিত হয়। এজন্যে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে অনেকেরই হতাশা রয়েছে।
নাজমুল হুদা উল্লেখ করেন, অনেক দিন থেকেই জাতিসংঘকে রিফর্মের দাবি রয়েছে। তা নিয়ে বিতর্ক চলমান রয়েছে। এজন্যেই আশা করা হচ্ছে বাস্তবতার নিরিখে কিছু একটা ঘটবে।
অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি খিজির আহমদ বলেন, যথেষ্ট হয়েছে আর না, এবার বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে রাজনীতিবিদদের, হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। খিজির হায়াত একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের গণহত্যা এবং ৩০ লাখ বাঙালির তাজা রক্ত দানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, পাকিস্তানিদের সেই জঘন্য বর্বরতা আর গণহত্যার স্বীকৃতি প্রদানে এখন পর্যন্ত সক্ষম হয়নি এই বিশ্বসংস্থা। অথচ বিশ্বশান্তির স্বার্থেই একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
ইসলামী চিন্তাবিদ ড. শামসী আলী বলেন, একজন মানুষের মৃত্যু মানে মানবতার মৃত্যু, সুতরাং মৃত্যু রোধ করতে না পারলে মানবতা বিপন্ন হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হোস্ট সংগঠনের চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরী। অতিথির মধ্য থেকে আরও বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স কোর্টের বিচারপতি সোমা সাইদ, জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত ও জি১০০ গ্রুপ, যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি সীমা কারাতনায়া, রাষ্ট্রদূত ড. আন্দ্রেই বাস।
অনুষ্ঠানে নিধার্রিত আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন খৃষ্টানিটি স্কলার ড. ফ্রান্ক কাউফম্যান, জাতিসংঘের সাবেক সুপারিনটেন্ডেন্ট মোহামেদ সুলায়মান ইয়ার, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের নিরাপত্তা প্রধান হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশি আমেরিকান ব্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরী, সফ্টওয়্যার ইন্জিনিয়ার মোজাফ্ফর আহমদ, এটর্নী জিনাত জাহান, টিবিএন ২৪ টিভির মার্কেটিং প্রধান আফম জামান, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের নির্বাহী সদস্য জুলকার হায়দার, এওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রবাসী সানওয়ার চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরও ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, মদিনা মসজিদের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট নাসিরউদ্দিন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী অফিসের প্রতিনিধি রোকেয়া আকতার, সানমুন এক্সপেসের সিইও মাসুদ রানা তপন, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, কম্যুনিটি লিডার আব্দুস শহীদ, ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী প্রমুখ।