রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্কে শেষ হলো সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার

জমকালো আয়োজনে নিউইয়র্কে শেষ হলো দু’দিনব্যাপী সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। শনিবার জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। যোগ দিয়েছেন, দুই বাংলার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এবারের উৎসবে চার শতাধিক থেকে বাছাই করা ৩৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। 

ঢাকা ও কলকাতার পরে, বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে অন্যতম বৃহৎ এই আয়োজনে ছিল মানুষের ব্যাপক সাড়া। মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রতি সম্মান জানাতে, তারই নামে দু'দিনের এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারের এই আয়োজনটি রীতিমতো রঙিন হয়ে উঠেছিল। 

সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল ইউএসএ' এই উৎসবের আয়োজন করেছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই উৎসবে মোট চার শতাধিক চলচ্চিত্র জমা পড়ে। তার মধ্য থেকে বাছাই করা ৩৯টি ছবি দেখানো হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছিলেন দুই বাংলার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকে। চলচ্চিত্র উৎসবটি বিনামূল্যে দেখানো হচ্ছে।

উৎসবের উদ্বোধন করছেন, বিশিষ্ট অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। এ সময় চঞ্চল চৌধুরী, বাঁধন, জয়, ভারতের ঋতুপর্ণা সেন, রেশমি মিত্রসহ শতাধিক নায়ক নায়িকা, পরিচালকসহ সিনেমাপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, নায়িকা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সিনেমা প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

তিন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সত্যজিৎ রায়, জহির রায়হান এবং তারেক মাসুদের নামে তৈরি করা থিয়েটারে একে একে প্রদর্শিত হয় চলচ্চিত্র। আর উৎসবে রয়েছে সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনারা ও পুরস্কার বিতরণ। 

আন্তর্জাতিক এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল, ইউএসএ নামের একটি সংগঠন। আয়োজকরা জানায়, পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেনের বাংলা চলচ্চিত্রের অবদানকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিতে তার ৯৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল ছিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। ১৯৩১ সালের এই দিনে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নয় ভাইবোনের মধ্যে সুচিত্রা ছিলেন পঞ্চম। বাড়ির ছোটরা ডাকতেন রাঙাদি বলে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রমা।পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতীশ রায় তা বদলে রাখেন সুচিত্রা। 

কিন্তু পাবনার মহাকালী পাঠশালায় খাতায় কলমে তার নাম ছিল কৃষ্ণা দাশগুপ্ত। পড়ালেখা শেষ করে সুচিত্রা সেন পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন সুচিত্রা সেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কয়েক মাস আগে বাবা করুণাময় পাবনা ছেড়ে সপরিবারে ভারতে চলে যান।